দেশভাগের সময় স্ত্রী, মেয়েকে হত্যা করেছে মানুষ : উর্বশী বুতালিয়া

নারীবাদী লেখিকা উর্বশী বুতালিয়া বলেছেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়কার সহিংসতা বুঝতে হলে জানতে হবে নিজের পরিবারেই কতটা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নারীরা। ওই সময় নিজের পরিবারের নারীকে হত্যা করেছে মানুষ। দেশভাগের সময়কার সহিংসতা বোঝার জন্য তথ্য পাওয়া যায় খুবই কম।
গত রোববার ভারতের জয়পুরের সাহিত্য সম্মেলনে উর্বশী বুতালিয়া এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশভাগের সময়কার ইতিহাস গবেষণার জন্য বৃত্তি বরাদ্দ থাকলেও এখনো অনেক বিষয় আড়ালেই রয়ে গেছে।
বুতালিয়া আরো বলেন, মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা ঐতিহ্য নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়নি। তিনি বলেন, লাদাখের একটি মুসলিম পরিবার প্রতিবছর তিব্বতে যেত। এই ভ্রমণে সময় লাগত দুই মাস। তবে দেশভাগের পর লাখাদ পড়ে ভারতের মধ্যে। আর তিব্বত চলছে চীনের অধীনে। এই কারণে দেশভাগের পর তিব্বত যেতে পারছে না ভারতের পরিবার।
দেশভাগ শুধু বিভিন্ন ধর্মীয় প্রেক্ষাপট থেকে না দেখার আহ্বান জানান বুতালিয়া। তিনি বলেন, ওই সময় নারী, দলিত এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তি কীভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
বুতালিয়ার মতে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান এই তিন দেশ নিয়ে দেশভাগ জাদুঘর, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র তৈরি করতে হবে। এরই মাধ্যমে মানুষের কাছে আরো স্বচ্ছ হবে দেশভাগ।
সাহিত্য সম্মেলনে ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক নিশিদ হাজারিয়া বলেন, দেশভাগের সব বিষয় তুলে ধরে এমন কোনো বই নেই। যে বইগুলো পাওয়া যায় সেগুলো দেশভাগের কোনো বিশেষ অংশ নিয়ে লেখা। অনেক সময় বইয়ের সমালোচকরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। দেশভাগ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।