শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনলেন মোদি

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এবার ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনি শুনলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শুক্রবার ভারতের লক্ষ্ণৌতে বাবাসাহের ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন মোদি।
ভারতের হায়দারাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত মেধাবী গবেষক রোহিত ভেমুলা (২৬) আত্মহত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ঘটনার আটদিনের মাথায় লক্ষ্ণৌতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে পড়লেন।
শুক্রবার দুপুরে ভারতের লক্ষ্ণৌতে বাবাসাহের ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভামঞ্চে মোদি উঠতেই একদল ছাত্র আচমকা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তারা মোদির সামনেই ‘গো-ব্যাক মোদি’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। এতে সভাস্থলে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। তড়িঘড়ি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সভাস্থলে নামে পুলিশ। পুলিশি প্রহরায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভের এই ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মঞ্চে উঠে মোদি হায়দরাবাদে দলিত শিক্ষার্থীদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, দেশের একজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর অত্যন্ত দুঃখের। তিনি মনে করেন রাজনীতিটা সব সময় রাজনীতির জায়গায়। রোহিতের মৃত্যুতে একজন মা তাঁর সন্তানকে হারিয়েছেন। এটা ভাবতে তাঁর খুব খারাপ লাগছে।
গত রোববার ভারতের হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এইচসিইউ) ক্যাম্পাসের মধ্যেই আত্মহনন করেন দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলা। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় মোদির মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেই বিতর্ক রাজনৈতিক মোড় নেয়। শুরু হয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা।
এর আগে রোহিত ভেমুলাসহ পাঁচ গবেষক ছাত্রকে গত বছর আগস্ট মাসে সাসপেন্ড করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক ছাত্রনেতাকে মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রোহিত। গত ২১ ডিসেম্বর হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার পর পাঁচ গবেষক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরেই তাঁবুতে থাকছিলেন। গত রোববার বিকেলে হোস্টেলের ঘর থেকে রোহিতের লাশ উদ্ধার হয়।
আজই ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোহিতের মৃত্যুর ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।