বজ্রপাত সয়ে দিব্যি চলছে বুনো ষাঁড়!

খুব শক্ত গড়নের অধিকারী বুনো ষাঁড় (বাইসন)। ছয় ফুটের মতো উচ্চতা, পুরু মাংসপেশি, মোটা চামড়া, লোম আর হাড় মিলিয়ে একেকটি বাইসনের ওজন হতে পারে এক টন পর্যন্ত। বিশাল বপু আর একগুঁয়েমির কারণে বাইসন হয়ে উঠেছে দুরন্ত শক্তির প্রতীক।
বাইসনদের শক্তি, টিকে থাকার সামর্থ্য বা প্রচণ্ড সহনশীলতা কিন্তু সাহিত্যের রূপকথা নয়। বাস্তবেও এরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী ও সামর্থ্যবান। এমনকি বাজ পড়লেও, সেটিকে থোড়াই কেয়ার করতে দেখা গেল এক বাইসনকে!
এমন এক ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে বজ্রাঘাতে বেশ আহত হয় একটি বাইসন। ব্যাপারটি লক্ষ করেন দেশটির মৎস্য ও বন্যপ্রাণী রক্ষা সংস্থা বা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের জীববিজ্ঞানী কারেন ভিস্তে স্পার্কম্যান। তিনি কাছে গিয়ে দেখেন বুনো ষাঁড়টির গা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। এরপর তিনি এবং আরো কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে বাইসনটিকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। দেখা যায় ষাড়টি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম পপুলার সায়েন্স জানায়, পরে বাইসনটিকে নেওয়া হয় আইওয়ার নিল স্মিথ জাতীয় বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র বা নিল স্মিথ ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজিতে। বজ্রাঘাত সইতে পারায় তার নাম দেওয়া হয় স্পার্কি বা যে বিদ্যুতের স্ফূলিঙ্গকে উপেক্ষা করতে পেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য ও বন্যপ্রাণী রক্ষা সংস্থা গতকাল বুধবার জানায়, বাইসনটির বয়স এখন ১১ বছর। ওজন ১৬০০ পাউন্ড। শুধু একটু খুঁড়িয়ে হাটে।
বিশ্বে নিত্যই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে মানুষের পাশাপাশি অনেক পশু-পাখিও প্রাণ হারায়। গরু থেকে শুরু করে জিরাফের পাল—এমনকি অন্যান্য বন্যপ্রাণীরও বজ্রাঘাতে মরার কথা শোনা যায়। কিন্তু বাইসনদের এমন সক্ষমতার প্রমাণ মিলল এই প্রথম।