খাবার পেটে ঢুকলেই হয়ে যাচ্ছে মদ!

মানুষ মদ খায়, খেয়ে মাতলামি করে। কিন্তু আপনি কি কখনো শুনেছেন, কোনো মানুষের শরীরে মদ উৎপন্ন হয়? শুনলে হয়তো অবাকই হবেন, তবে বিষয়টি বানোয়াট নয়!
মাদকাসক্ত ছিলেন না, তাঁর শরীরে মদ তৈরি হয়- এমন দাবি করে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন এক নারী। মাতাল হয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওই নারীর বিরুদ্ধে। তবে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে ওই নারীর আইনজীবী জোসেফ মারুসাক বলেন, ‘গাড়ি চালানোর সময় তাঁর শরীরের রক্তে বৈধ মাত্রার চেয়ে চারগুণ বেশি অ্যালকোহল পাওয়া যাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন, তিনি বিরল একটি সমস্যায় ভুগছেন। সেটি হচ্ছে ‘অটো-ব্রিওয়ারি সিনড্রোম’। অর্থাৎ তাঁর পরিপাকতন্ত্রে সাধারণ খাদ্যই মদে রূপান্তরিত হয়।’
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, মারুসাক এর প্রমাণ হিসেবে চিকিৎসকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর নিউইয়র্কের শহরতলি বাফেলোর এক বিচারক ওই নারীকে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানোর মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর অন্ত্রে উচ্চমাত্রার ইস্ট-জাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা উচ্চ শর্করা-জাতীয় খাদ্যকে মদে রূপান্তর করে।
অন্ত্রে মদ উৎপন্নের ঘটনার কথা ১৯৭০ সালে জাপানে প্রথম নথিভুক্ত হয়। নিউইয়র্কের ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ও আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো মামলার ক্ষেত্রে খুব ঘন ঘন এ ধরনের সিনড্রোমের কথা জানা যাচ্ছে।
মারুসাক জানান, তিনি তাঁর মক্কেলের জন্য একদিনে দুজন সেবিকা ও চিকিৎসকের সহকারীর ব্যবস্থা করেন। সারা দিন কোনো প্রকার অ্যালকোহল না নেওয়ার পর পরীক্ষার জন্য তাঁর কাছ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দিনশেষে তাঁর রক্তে ভালো পরিমাণের অ্যালকোহলের মাত্রা পাওয়া যায়।