গণধর্ষণ,ভারতে বাংলাদেশি নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা

কাজের আশায় ভারতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের এক নারী। এরপর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তাতে ব্যর্থ হয়ে আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড় জেলায়।
কোঝিকোড় জেলার একাধিক গণমাধ্যমের কর্মীর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড়ের একটি বাসায় ওই মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় এরই মধ্যে কেরালা পুলিশ এক নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু দেশ ও স্বজনদের ছেড়ে ভারতে এসে ধর্ষিত হওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই নারী। শেষে গত রোববার ঘরের মেঝে পরিষ্কার করার বিষাক্ত কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় মানুষজনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
ঘটনার শিকার নারীর সাক্ষ্যের বরাত দিয়ে কোঝিকোড় জেলা পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরে গত মে মাসের প্রথমদিকে বাংলাদেশে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর তিনি কাজের খোঁজে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্ত মুম্বাই যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যেই কেরালার এক দম্পতির সঙ্গে আলাপ হয় ওই নারীর। এরপর কেরালার ওই দম্পতি তাঁকে কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোঝিকোড়ে নিয়ে আসেন। জানা যায়, সাময়িকভাবে সেখানে একটি কাজের ব্যবস্থাও হয় ওই নারীর।
এর পর থেকে কোঝিকোড়ের এরানহিপালামের একটি ফ্ল্যাটে তাঁর কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। সেই ফ্ল্যাটেই ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে একটি আবাসিক হোমে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই বাংলাদেশি নারী। প্রায়ই সময় চুপচাপ থাকতেন। কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইতেন না।
আবাসিক হোমে থাকলেও তাঁর মানসিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ। এরপর গত রোববার মেঝে পরিষ্কার করার সময় তিনি কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। পরে এক সাফাইকর্মী মহিলাকে অজ্ঞান অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সবাইকে খবর দেন।
এরপরই আবাসিক হোমের কর্তৃপক্ষ মহিলাকে কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে সর্বশেষ জানা গেছে, আপাতত সংকটমুক্ত রয়েছেন ওই বাংলাদেশি নারী।