পুনর্বাসন কেন্দ্র দেখতে ৩৯ জন গেলেন ভারতে

বাংলাদেশের ভেতরে বিলুপ্ত হওয়া সাবেক ভারতীয় ছিটমহল থেকে ভারতের বাসিন্দা হতে আগ্রহী ৩৯ জন আজ বুধবার বিকেলে ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে তাঁরা বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে ভারতে প্রবেশ করেন। ওই দলকে অভ্যর্থনা জানান দিনহাটা মহকুমা শাসক রঞ্জন কুমার ঝাঁ।
আগের ছিটমহলের বাসিন্দাদের যাঁরা ভারতের বাসিন্দা হতে আগ্রহী তাঁদের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ ভারতে প্রবেশের ভ্রমণ পাস বিতরণ করেন। এ পাস নিয়ে এদিন বিকেলে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ৩৭ জন এবং লালমনিরহাটের দুজন বাসিন্দা ভারতে প্রবেশ করেন।
কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার শাসক রঞ্জন কুমার ঝাঁ বলেন, ‘যাঁরা ভ্রমণ পাসের মাধ্যমে ভারতে এসেছেন তাঁরা আপাতত তাঁদের পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো দেখবেন। এরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন পুনর্বাসন কেন্দ্রের কোথায় থাকবেন।’
তিনি জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ এবং হলদিবাড়ি মহকুমায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাওয়া মোট ৯৮৭ জনের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করেছে।
তবে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর জন্য জায়গা নির্ধারিত হলেও এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে গতি আসেনি। এই বিষয়ে কোচবিহারের জেলা শাসক পি উলঙ্গনাথন বলেন, ‘পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর কাজ খুব দ্রুত শেষ করার কাজ চলছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে সমস্ত বিলুপ্ত হওয়া ছিটের বাসিন্দা আসবে তাদের পুনর্বাসনে যাতে কোনো রকম সমস্যা না হয় সেদিকে প্রশাসন কড়া নজর রাখছে।’
এদিকে বুধবার ভ্রমণ পাসের মাধ্যমে ভারতে আসা ব্যক্তিরা জানান, পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতেই তাঁরা ভারতে এসেছেন। যে পুনর্বাসন কেন্দ্র ভালো লাগবে সেখানেই থাকবেন তাঁরা।