ট্রাম্পকে রুখতে জাতিসংঘে প্রস্তাব আসছে

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে প্রস্তাবটি আনা হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জানা গেছে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবনার খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে মিসরের পক্ষ থেকে। এক পাতার ওই খসড়ায় বলা হয়, ‘পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের চরিত্র, পরিস্থিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অবস্থানের পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের বৈধ প্রভাবহীন, অকার্যকর ও অন্তঃসারশূন্য এবং তা বাতিল করতে নিরাপত্তা পরিষদের সংকল্প নিতে হবে।’
মিসরের প্রস্তাবিত খসড়াটির স্বীকৃতির জন্য গত শনিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে কমপক্ষে আটটি ভোট প্রয়োজন হবে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও চীন ভেটো দিলে প্রস্তাবনাটি অকার্যকর ঘোষণা করা হবে।
নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যই মিসরের প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেবে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে করবে বলেই সবার ধারণা।
এদিকে, স্থানীয় সময় রোববারও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন ফিলিস্তিনিরা। গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন এক ফিলিস্তিনি।
গত ৭ ডিসেম্বরও জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা শহরে বিক্ষোভে নামেন ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরের দিন ‘বিক্ষোভ দিবসের’ ডাক দেওয়া হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও সাত শতাধিক আহত হন।
৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে আরো সংকটময় করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া এই পদক্ষেপ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চলমান প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করবে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাবে পরে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি।