টিলারসনকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবন হোয়াইট হাউস। তাঁর জায়গায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক মাইক পম্পেও। আজ বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইএ পরিচালক পম্পেওর স্থলে আসতে পারেন আরকানসা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন। কর্মকর্তারা বলছেন, কটন এ বিষয়ে তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন কি না তা স্পষ্ট হয়নি। বলা হয়ে থাকে, ট্রাম্পের সঙ্গে টিলারসনের সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে রয়েছে। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনে আগ্রহী ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন এফ কেলি পরিবর্তন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জন এফ কেলির পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তা দলের রূপান্তর এ বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের শুরুতেই হয়ে যেতে পারে।
তেল কোম্পানি এক্সন মবিলের সাবেক প্রধান নির্বাহী টিলারসনকে সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ঝঞ্ঝাপূর্ণ যুগের অবসান হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিবাদ ও আরব মিত্রদের ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী অবস্থান ট্রাম্প ও টিলারসনের। জানা গেছে, একান্ত আলাপে ট্রাম্পকে ‘হাবাগোবা’ বলে মন্তব্য করেন টিলারসন এবং প্রকাশ্যে টিলারসনের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তিনি কূটনৈতিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সময় নষ্ট করছেন।
কয়েক মাস ধরেই টিলারসনের প্রস্থান অনুমেয়। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এত সংক্ষিপ্ত সময়ে কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১২০ বছরের মধ্যে ঘটেনি, যা এ বছরের শেষ নাগাদ হতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ভাবা হচ্ছিল। তবে হোয়াইট হাউসের পছন্দ পম্পেও।
পম্পেও তিনবার কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। প্রতিদিন ট্রাম্পকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে তিনি আস্থাভাজন নীতি-পরিকল্পনার উপদেষ্টায় পরিণত হয়েছেন। এমনকি স্বাস্থ্যসেবার বিষয়েও তিনি ট্রাম্পকে উপদেশ দিয়েছেন, যা সিআইএর এখতিয়ারবহির্ভূত। সিআইএর কর্মকর্তাদের তাঁর ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে; তিনি খুব বেশি রাজনীতিঘেঁষা।