উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে দেশটির প্রতিবেশী ও ‘সাহায্যকারী’ চীনে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘ এশিয়া সফরে বের হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প সফরের তৃতীয় দেশ হিসেবে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান।    
তার কিছু আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় উত্তর কোরিয়ার প্রতি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই তাদের, আর লাগতে এলে তার ফলও ভালো হবে না।

এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান। 

উত্তর কোরিয়ার লাগাম টানার জন্য চীনকে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দেখার কথা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও চীন বলছে, এ ব্যাপারে তারা যথেষ্টই করেছে।    

আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক বেইজিংয়ে পৌঁছালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং স্বাগত জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে ‘সফরের বেশি কিছু’ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

৫ নভেম্বর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ১২ দিনের এশিয়া সফর শুরু হয়। গত ২৫ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত দীর্ঘ সফরে বের হলেন। 
জাপানের পর তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। চীন সফর শেষে তিনি ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে যাবেন। 

এশিয়া সফরে ট্রাম্পের আগামী কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে :
১০ নভেম্বর : চীন ভ্রমণের পর ট্রাম্প এদিন পৌঁছাবেন ভিয়েতনামে। দেশটির দানাং শহরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

১১ নভেম্বর : দানাং থেকে ট্রাম্প ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় শহরে যাবেন। আলোচনায় বসবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াং ও অন্য নেতাদের সঙ্গে।

১২ নভেম্বর : সফরের শেষ দেশ হিসেবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গালা ডিনারে অংশ নেবেন।

১৩ নভেম্বর : ম্যানিলায় আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প। এরপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের এশিয়া সফর শেষ হবে।

এর আগে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সাল মিলিয়ে এমন দীর্ঘ সময় নিয়ে এশিয়া সফরে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তবে সেবার জাপানে একটি ভোজ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুশ।