ভিক্ষুক দূরে রাখতে পাঁচ হাজার রুপি

জনাকীর্ণ স্থান থেকে ভিক্ষুকদের দূরে রাখতে অন্য রকম উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যটিতে চলা ‘গোদাভারি পুষ্করানি’ উৎসবে ভিক্ষা করবেন না এমন শর্তে পাঁচ হাজার রুপি করে পাবেন সেখানকার ভিক্ষুকরা।
অন্ধ্রপ্রদেশে ১৪৪ বছর ধরে চলা ‘গোদাভারি পুষ্করানি’ উৎসবে হাজারের বেশি ভিক্ষুক বসে।
প্রশাসন ঘোষণা করেছে, ২৫ জুলাই পর্যন্ত ভিক্ষুকরা মহাকুম্ভ মেলায় না গেলে অর্থের পাশাপাশি বিনামূল্যে খাবার পাবে। ১৪ জুলাই থেকে এই উৎসব শুরু হয়েছে।
তবে ভিক্ষুক দূরে রাখার পরিকল্পনায় এরই মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। গোদভারি পুষ্করানি আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, সুবিধা নিতে অনেক মানুষই আসছে তবে এদের সবাই ভিক্ষুক নয়।
আর রেশন কার্ডবিহীন ও কল্যাণ ভাতা পায় না এমন ভিক্ষুকরাই শুধুমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশের এই সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে আয়োজক কমিটির অভিযোগ, সরকারের রেশন ও কল্যাণ সুবিধাভোগীরাও পাঁচ হাজার রুপির দাবি করছে।
পুষ্করানি উৎসবের বিভিন্ন ঘাটে আসা হাজারো ভিক্ষুক বসলে মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। ভিক্ষুকরা সাধারণত মন্দির শহরের ১৭টি ঘাটে ভিড় জমায়।
আয়োজক কমিটির সদস্য এইচ অরুণ কুমার বলেন, পুষ্করানি উৎসবে ভিক্ষায় বসেন এমন ২০০ জনকে তাঁরা শনাক্ত করেছেন। তবে অন্য অনেকে অর্থের জন্য আসছে। তাই পুষ্করানি উৎসব শেষে শনাক্তকরণ পরীক্ষার পর সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাহায্যের জন্য আসা ভিক্ষুকদের টিপসহ রাখা হচ্ছে। উৎসব শেষে সরকারের অন্যান্য সুবিধার কার্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে দেখা হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভারতে ভিক্ষুকদের সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে ২০০০ সালে বিল ক্লিনটন ভারত সফরে এলে হায়দ্রাবাদ থেকে ভিক্ষুকদের সরিয়ে দিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
পুষ্কর ঘাট এলাকার এক ভিক্ষুক বলেন, ‘আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই এবং কোনো আয়ও নেই। গত এক দশক ধরে আমি এখানেই ভিক্ষা করি। এখান থেকে আমি অন্য কোথাও যেতে পারি না। আর পুরো শহরেই এখন পুণ্যার্থী। সরকারের কাছে দাবি, আমার দায়িত্ব কে নেবে?’