দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেল

চারদিকে ভূমিবেষ্টিত (ল্যান্ডলক) ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের বাধা দূরীকরণে ভারতের নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগী হয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের সরাসরি বাস রুট চালু হয়।
ভারত সরকার ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশে আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেললাইন স্থাপন করবে। এর ফলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকা ও সিলেটের বড় বাজারের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো।
অর্থায়নে ত্রিপুরার রাজ্য সরকারের অপারগতা জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা প্রায় অচলাবস্থায় পৌঁছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বৈঠকের পর রেল যোগাযোগ স্থাপনের খরচ বহন করার কথা জানিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মানিক সরকার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, প্রাথমিক সমীক্ষার পর ভারতীয় রেলওয়ে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ৩৫০ কোটি রূপি চেয়েছিল। এত খরচের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা রাজ্য পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। পরে রেলওয়ে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। দিল্লি মেট্রোর মতো ভিত্তি তৈরি করে মাটি থেকে কিছুটা ওপরে রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। এর ফলে জমি অধিগ্রহণের ব্যয় হবে পূর্বের চেয়ে অনেক কম হবে।
বর্তমানে কলকাতার মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল সংযোগ আছে। ইংরেজ আমলে আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ থাকলেও ১৯৪৭ দেশ ভাগের পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দ্রুত রেল যোগাযোগ স্থাপনে আশাবাদী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, ত্রিপুরার উন্নয়ন বিষয়ে কোনো পরিকল্পনায় বাংলাদেশ সরকার কখনো অভিযোগ করেনি। ত্রিপুরার জন্য শেখ হাসিনার দরদ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। তবে এর বাইরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরো দুটি বৈঠক করেছেন মানিক সরকার। রাজনৈতিক ও ভাবাদর্শে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো কাজের সম্পর্ক আছে চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের।