ট্রাম্প বাড়াবেন সামরিক ব্যয়, কমাবেন বিদেশি সাহায্য

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৮ সালের বাজেটে সামরিক খাতে বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন ট্রাম্প।
‘এবারের বাজেটে সামরিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে’, বলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দুর্বল হতে চলেছে। তাই এই বাহিনীকে শক্তিশালী করার এখনই সময়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়াতে চান।
সোমবারের ওই বৈঠকে ট্রাম্প আরো জানান, সড়ক যোগাযোগ ও রেলপথের জন্যও বাজেটে একটি বড় বরাদ্দ থাকবে। এত কিছু বললেও কর নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা কী, তার কিছুই জানাননি ট্রাম্প।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক খরচ ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়ানো হবে। এই বাড়তি ব্যয়ের জোগান দিতে কমানো হবে বিদেশি সাহায্যসহ বেশ কয়েকটি খাতে ব্যয়।
আগামী মে মাসেই ওই বাজেট প্রস্তাব করবেন ট্রাম্প। এ জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও সিনেটর জন ম্যাককেইন জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস প্রস্তাবিত ৬০৩ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট হয়তো যথেষ্ট হবে না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্যে বাজেটে সামরিক ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছিল। তবে তাঁরা চাইলেই আবার ট্যাঙ্ক, জঙ্গিবিমান, যুদ্ধজাহাজসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনার সম্মতি দিতে পারে। যদিও দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, এ মুহূর্তে এসব সামরিক সরঞ্জামের কোনো প্রয়োজন নেই।