পাঁচ দশকের মধ্যে প্রথম জনসংখ্যা কমেছে চীনে : ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস

পাঁচ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমার কথা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটির আদমশুমারিতে জড়িত একটি সূত্রের উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
সর্বশেষ জনসংখ্যা গণনার ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গেছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। চীনে প্রতি এক দশকে একবার জনসংখ্যা গণনা করা হয়।
গত বছরের শেষে পরিচালিত হলেও এই আদমশুমারির ফল এখনও প্রকাশ করেনি দেশটির দ্য ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এনবিএস)। রয়টার্সের কাছে অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।
সূত্রের বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, জনসংখ্যার এসব পরিসংখ্যান খুবই সংবেদনশীল এবং এ নিয়ে সরকারের দপ্তরগুলো একমত না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হবে না।
জনসংখ্যার তথ্য ঘোষণায় দেরি করার বিষয়ে এনবিএস কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও এ মাসেই জানানো হয়, প্রস্তুতিমূলক আরও কাজ করতে হবে।
শেনজেন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিউয়েই ঝাঙ বলেন, ‘চীন যদি এমন হ্রাস নিশ্চিত করে তবে তা হবে অনেক বড় ব্যাপার।’
খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজার এবং নীতিনির্ধারকরা যা প্রত্যাশা করেছিলেন তার অনেক আগেই এটা হতে পারে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল, আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যা কমে আসতে পারে।

জনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে চীন কয়েক দশক ধরে চলা এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করে।
এ সময় ২০১০ সালে নির্ধারণ করা ১৩৪ কোটির বদলে ২০২০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বাড়িয়ে ১৪২ কোটি করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশটিতে জন্মহার কমতেই থাকে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরের দম্পতিরা বিশেষ করে ১৯৯০ সালের পর যাদের জন্ম হয়েছে, তারা পরিবারের চেয়ে ক্যারিয়ার এবং স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণই এর জন্য অনেকটা দায়ী।