ইউক্রেনে চলছে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। এর মধ্যে শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যাও অনেক বলে দাবি করছে ইউক্রেন। ধ্বংস হচ্ছে বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আগামী ৯ মের মধ্যে যুদ্ধের ইতি টানতে পারে রাশিয়া।

ইউক্রেনের কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে, আগামী ৯ মের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ সেনাদের বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির চূড়ান্ত পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ওই দিনেই সেনা অভিযানের সমাপ্তি টেনেছিলেন অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্তালিন। সে হিসেবে রাশিয়ায় ৯ মে উৎসব পালন করা হয়। বলা হচ্ছে, পুতিন এবার স্তালিনের পথই অনুসরণ করবেন।

এদিকে, ইউক্রেনে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকদের ওপর ৭০টির বেশি পৃথক হামলা হয়েছে বলে গতকাল শনিবার দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর, প্রতিদিন এ হামলা ক্রমেই বাড়ছে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

ডব্লিউএইচও বলছে, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিষেবাগুলোকে নিশানা করা বর্তমানে রুশ রণকৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে।

ডব্লিউএইচও’র পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ৭২টি পৃথক হামলা চালানো হয়। এবং এসব হামলায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়।

এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবাকর্মী ও রোগীদের ‘সম্ভাব্য’ অপহরণ বা আটকের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও।

ডব্লিউএইচও’র ইউক্রেনের প্রতিনিধি জার্নো হ্যাবিচট বলেন, ‘(হামলার) এ সংখ্যা প্রতিদিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমরা উদ্‌বিগ্ন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো চিকিৎসক ও সেবিকাদের জন্য নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত।’