‘ইউক্রেনকে দুই ভাগ করতে চাইছেন পুতিন’

গোটা দেশের দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে ইউক্রেনকে এখন দুই ভাগে বিভক্ত করে মস্কো-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ একথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কিরিলো বুদানভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ইউক্রেনে ভাগ করতে চাইছে রাশিয়া। তিনি আরও বলেন, তার দেশ শিগগিরই রুশ-অধিকৃত ভূখণ্ডে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একমাসের বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে।
ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক এবং সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন হয়ত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া ঠেকাতে এখনও গোটা দেশের ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে চাইতে পারেন।
তবে তিনি এতে জয় পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত নন। এক উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে অপ্রত্যাশিতরকম প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষত কিয়েভে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে।
ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক এবং সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, গোটা দেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সম্ভবত রাশিয়ার পরিকল্পনার মধ্যে নেই।

রুশ সেনারা যেভাবে এগুচ্ছে তাতে তারা ইউক্রেনের দুর্বল অবস্থানগুলো থেকে আশপাশ ঘিরে অতর্কিতে হামলার কৌশল নিয়েছে বলে আভাসা পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানী কিয়েভ দখল এবং ইউক্রেনকে দুইভাগে ভাগ করে কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে একটি স্থল করিডোর তৈরি করা রাশিয়ার পরিকল্পনা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ইউক্রেন দুভাগে ভাগ হলে একটি হতে পারে জাতিগত পশ্চিমাঞ্চলীয় রাষ্ট্র। সেখানে বেলরুশের মতো শাসব্যবস্থা কায়েম হতে পারে। আর আরেকটি হতে পারে রাশিয়া-ভিত্তিক পূর্বাঞ্চলীয় রাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া তার যুদ্ধ কৌশলে সফল হলে মস্কো পূর্ব ইউক্রেন এবং সরাসরি এর উপকূলীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যেতে পারে। আর পশ্চিম ইউক্রেন হয়ে পড়তে পারে করদ রাষ্ট্র (ভাসাল স্টেট)। এতে করে সেখানে দীর্ঘমেয়াদে রাশিয়ার দখলদারিত্বের খরচও কমবে।