‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা তার আনন্দঘন মুহূর্তকে আলোকিত করে ধরে রাখুক’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনো মোবাইল। এর প্রতিটি হ্যান্ডসেটের ক্যামেরা ফিচারে ব্যবহার করা হয়েছে পিক্সেল এক্স ইমেজ প্রসেসিং টেকনোলজি। ফলে টেকনো মোবাইল দিচ্ছে রাতের বেলায় নিখুঁত আলোতে ছবি তোলার নিশ্চয়তা। যা সেলফি তোলার ক্ষেত্রে এর ব্যবহারকারীকে দেবে নতুন এক অভিজ্ঞতা।   

ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে টেকনো মোবাইলের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন ট্রানশান হোল্ডিংসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্যে ট্রানশান হোল্ডিংসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘ট্রানশান হোল্ডিংস সবসময় ক্রেতা এবং ভোক্তার চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। আমরা বহুমাত্রিক ব্র্যান্ড কৌশল অনুসরণ করি এবং ক্রেতার চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য প্রদানে  আমাদের প্রতিটি ব্র্যান্ড-ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর মধ্যে, বাংলাদেশ আমাদের জন্য অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বাজারে টেকনো মোবাইলের কার্যক্রম শুরু করতে পেরে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন চাহিদার অভিনব সমাধান আনতে পেরে আমরা আনন্দিত’

বাংলাদেশি ভোক্তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে বাজারে আনা ক্যামন সিরিজের ক্যামন সি এক্স এয়ার, আই সিরিজের আই সেভেন, আই থ্রি স্মার্টফোনগুলোতে  পিক্সেল এক্স ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে, সেলফি ক্যামেরাতে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা । বিশেষত, ক্যামন সি এক্স এয়ার, আই সেভেন স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায় স্ক্রিন ফ্ল্যাশ সাপোর্ট এবং ব্যাক ক্যামেরার সঙ্গে কুয়াড ফ্ল্যাশ থাকায় একজন ব্যবহারকারী মৃদু আলোতেও পাবেন অধিকতর উজ্জ্বল ছবি। গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবং মোবাইল হ্যান্ডসেটের কোয়ালিটি নিয়ে গ্রাহকদের চিন্তামুক্ত রাখতে, টেকনো মোবাইল তাদের প্রতিটি হ্যান্ডসেটে ১৩ মাসের ওয়ারেন্টির পাশাপাশি, বিক্রয়োত্তর ১০০ দিন পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দিচ্ছে; যা নিশ্চিত করবে ট্রানশান হোল্ডিংসের সার্ভিসিং ব্র্যান্ড কার্লকেয়ার ।

ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিবিভাগ অনুসারে, ক্যামন সি এক্স এয়ার, আই সেভেন, আই থ্রি, ডব্লিউ এক্স থ্রি এবং ডব্লিউ এক্স ফোর স্মার্টফোনগুলোর বিক্রয়মূল্য যথাক্রমে ১১ হাজার ৯৯০ টাকা, ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা, ১০ হাজার ৬৯০ টাকা, ৬ হাজার ১৯০ টাকা এবং ৮ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ।   

এ ব্যাপারে টেকনো মোবাইল ফোনের জেনারেল ম্যানেজার স্টিফেন হা বলেন, “স্মার্টফোনের ব্যবহার উপযোগিতার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে । টেকনো ব্র্যান্ডের প্রতিটি হ্যান্ডসেটে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন ফিচার যোগ করতে আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাজারে, ভোক্তা ও গ্রাহকদের ব্যবহার সুবিধার নিশ্চয়তা দিতে আমরা হ্যন্ডসেটের ক্যামেরা ফিচারের সঙ্গে পিক্সেল এক্স প্রযুক্তি যোগ করেছি, যা পুরোপুরিভাবে পণ্যের মান এবং গ্রাহক চাহিদার প্রতি টেকনো মোবাইল ফোনের সচেতনতা নির্দেশ করে।’

ফিচার ফোন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ ও বাজারজাত করার মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে ট্রানশান হোল্ডিংস। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর বর্তমানে ৪০ টিরও বেশি দেশে টেকনো মোবাইলের কার্যক্রম চালু রয়েছে। শুরু থেকেই প্রতিটি হ্যান্ডসেটে সর্বাধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভোক্তার চাহিদা পূরণ এবং ব্যবহারে সন্তুষ্টি নিশ্চিত করাই ছিল টেকনো মোবাইলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আফ্রিকান বিজনেস ম্যাগাজিন টেকনো মোবাইলকে “আফ্রিকার সর্বাধিক প্রশংসিত ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা টেকনো মোবাইলের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য। বিশ্বজুড়ে নিজেদের পরিধি আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করেছে টেকনো মোবাইল ফোনসেট। তাই স্থানীয় ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

অনুষ্ঠানে ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাবনা। আমি বিশ্বাস করি যে, টেকনো মোবাইল ফোনের সব স্মার্টফোন-ই গ্রাহকের ব্যবহার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। আগামীতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের স্মার্টফোনের ফিচারে আরো বৈচিত্র্য নিয়ে আসব।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইলি চুই, প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আসা সাংবাদিকরা।