জাতীয় দলের নতুন লক্ষ্যের কথা জানালেন বাটলার

ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে দুর্দান্ত ছন্দে আছে দেশের নারী ফুটবল। বয়সভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দল—সাফল্য আসছে সমানভাবে। দায়িত্ব নিয়েই গত বছর জিতিয়েছিলেন সাফের শিরোপ। চলতি বছরে তার অধীনে প্রথমবার জাতীয় দলের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে।
বাটলারের অধীনে বদলে যাওয়া নারী ফুটবলের চিত্র মেলে প্রতিপক্ষের উপর নজর দিলেই। গত মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা দলগুলোকেও পাত্তা দেয়নি ঋতুপর্না-আফঈদারা। র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে তাদের মাটিতে হারিয়েই এশিয়ান কাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। বাকি দুই দলকে ভাসিয়েছিল গোল বন্যায়।
সেই সাফল্যের বড় পুরষ্কার পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে। ইতিহাস গড়ে বড় লাফ দিয়েছে র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে। সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ৮০.৫১ রেটিং বেড়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।
বাটলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও। এই দলকে সাফের শিরোপা জিতিয়ে নিয়ে গেছে এশিয়ান মঞ্চে। আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
এখনো বাংলাদেশে পৌঁছায়নি সেই দল। তার আগেই আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশের এই ব্রিটিশ কোচের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে জাতীয় দল নিয়ে নতুন লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বাটলারের লক্ষ্য বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিংয়ে ১০০-এর মধ্যে নিয়ে আসা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেটা অর্জন করেছি। তারা (ফুটবলাররা) যা অর্জন করেছে, স্বীকৃতি, প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, (র্যাঙ্কিং) এটি খুব দ্রুত নেমে আসতে পারে, খুব দ্রুত উপরেও যেতে পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং আবারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ের সাথে চেষ্টা করতে হবে যাতে ফিফা র্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং এটিকে ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনা যায়।’
বাটলার মনে করেন এই সাফল্যের গল্প শুরু হয়েছে গত বছর চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দিকে ফিরে তাকালে, আমার মনে হয়, এটি গত বছর চাইনিজ তাইপে থেকে শুরু হয়েছিল। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের উত্থান আসলেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কারণ একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং আরও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের আছে এবং মেয়েরা অত্যন্ত ভালো করেছে।’