লাওসকে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

অচেনা মাঠ আর অচেনা প্রতিপক্ষ হলেও লক্ষ্যটা ঠিকই জানা ছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলের। এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে হলে প্রথম ম্যাচেই জয় প্রয়োজন ছিল। কোনো ভুল করেনি কোচ পিটার বাটলারের দল। র্যাংকিংয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী লাওসকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে দারুণ এক জয় দিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ সামলে স্বাগতিক লাওসের বক্সে আক্রমণ শাণছিল বাংলাদেশ। যদিও সাফল্যটা সেভাবে আসছিল না। বারবার আটকে যাচ্ছিল হয় ডিফেন্সে না হয় লাওসের গোলরক্ষকের কাছে। ভাগ্যও সহায় হচ্ছিল না কোচ পিটার বাটলারের দলের।
তবে বাংলার বাঘিনীদের বেশি সময় আটকে রাখা যায়নি। প্রথমার্ধের শেষদিকে কর্নার থেকে গোল আদায় করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে শ্রী মতি তৃষ্ণার বাড়ানো ক্রস বাইলাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেন লাওসের ডিফেন্ডার। সেখান থেকে কর্নার পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শান্তি মার্ডির নেওয়া কর্নার বিরতি থেকে ফিরে গোল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
বক্সের একটু বাইরে থেকে মুনকির উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ান তৃষ্ণা। সেই বল ধরে কাট করে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে বোকা বানান মুনকি। এরপর সামনে থাকা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে শান্তনাসূচক একমাত্র গোলটি পায় স্বাগতিক লাওস। এই গোলে অবশ্য তাদের কৃতিত্বের চেয়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের দায়টাই বেশি। বক্সের মাথায় থেকে তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে গোলে বল প্লেস করে লাওস। লাওসের স্ট্রাইকারকে থামানোর খুব একটা চেষ্টা করেননি তারা। ছয় গজ বক্স ছেড়ে বেড়িয়ে আসা গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মণ্ডলের নাগালের বাইরে দিয়ে বল চলে যায় জালে।
তবে যোগ করা সময়ে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বামপ্রান্তে বক্সের বাইরে মুনকিকে থ্রু পাস বাড়ান তৃষ্ণা। সেই বল ধরে গোল লাইনের কাছে থেকে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা মুনকিকে বল দেন তৃষ্ণা। ছয় গজ বক্সের সামনে থাকা সাগরিকাকে খুঁজে নেন মুনকি। সেখান থেকে জাল খুঁজে নিতে কোনো ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। নিজের দ্বিতীয় গোলের পাশাপাশি বাংলাদেশকে এনে দেন তৃতীয় গোল।