শ্রীলঙ্কাকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ঠিক যেন আগের ম্যাচগুলোর চিত্র। দুর্দান্ত শুরুর পর হঠাৎই ব্যাটিং ধস। এরপর চাপে পড়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় মন্থর ব্যাটিংয়ে কোনোমতো লড়াইয়ের পুঁজি দাঁড় করানো। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের ইনিংসের চিত্র। পারভেজ হোসেন ইমনের ইন্টেন্টফুল ব্যাটিংকে ঠেকিয়ে দিয়েছে বাকিদের মন্থর ব্যাটিং। এতে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনোমতে ১৫৪ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
পটাল্লেকেলেতে টসে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়েছে ১৫৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতে লঙ্কানদের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৫৫ রানের।
শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর তানজিদ হাসান তামিম। ইন্টেন্টফুল ব্যাটিংয়ে বার্তাটা ছিল স্পষ্ট। উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৩০ বলে ৪২ রান। কিন্তু পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগেই সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। ফেরার আগে ১৭ বলে করেন মাত্র ১৬ রান।
পাওয়ার-প্লে শেষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটাররা একে তো উইকেট বিলিয়েছেন তার উপর আবার মন্থর ব্যাটিংয়ে খেলার গতি নষ্ট করেছেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে ১১ বলে মোটে ৬ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক লিটন দাস।
ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ইমনও। নবম ওভারে তিনিও পথ ধরেন সাজঘরের। দাসুন শানাকার বলে ফেরার আগে করেন ২২ বলে ৩৮ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার আর এক ছক্কায়। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেন তাওহিদ হৃদয়। শানাকার অফস্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৩ বলে ১০ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর মন্থর ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন প্রায় দুই বছর পরে দলে ফেরা মোহাম্মদ নাঈম শেখ আর মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৬ বলে ৪৬ রান তোলেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে মিরাজ ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
নাঈমের মন্থর ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষদিকে নেমে ক্যামিও খেলে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ ছাড়ান শামীম পাটোয়ারী। ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আর নাঈম ২৯ বলে ৩২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (তামিম ১৬, ইমন ৩৮, লিটন ৬, হৃদয় ১০, মিরাজ ২৯, নাঈম ৩১*, শামীম ১৪*; করুনারত্নে ১-০-৮-০, থুসারা ৪-০-৩২-১, বিনুরা ৩-০-২২-০, থিকশানা ৪-০-৩৭-২, শানাকা ৪-০-২২-১, ভ্যান্ডার্সি ৪-০-২৫-১)