ব্যাটিং ব্যর্থতাটা বাংলাদেশের পুরনো রোগ, ধারাবাহিকতাটা কেউ যেনো ধরে রাখতে পারেন না। ওপেনারদের দ্রুত সাজঘরে ফেরার পর মিডল অর্ডারে কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করা, শেষ পর্যন্ত বোলাররা স্কোরবোর্ড যতটুকু বড় করতে পারেন আরকি। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল তাদের চিরচেনা রূপেই ফিরে এসেছে।

কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে দ্বিতীয় দিনে খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে ৭১ ওভারে ৮ উইকেটে ২২০ রান তোলা বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহটা বাড়াতে তাইজুল ইসলাম আর ইবাদত হোসেন শুরু করেছেন দ্বিতীয় দিনের খেলা।

প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২০ রান তোলে বাংলাদেশ। ২৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল। আর ৫ বলে ৫ রানে ইবাদত।

কলম্বো টেস্টের প্রথম দিন:

কলম্বোর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও ইনিংস বড় করতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই ।

শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সাদমান আর মুমিনুল হক। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি ভাঙে মুমিনুল ফিরলে। এ ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ এই টপঅর্ডার ব্যাটার। ফিরেছেন ৩৯ বলে ২১ রানে।

আগের ম্যাচের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে মোটে ৮ রান।

ওপেনার সাদমান হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে রত্নায়াকের বলে ধনাঞ্জয়াকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এর আগে ৯৩ বলে ৪৬ রান করেন টাইগার এই ওপেনার।
 
৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখানে থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটার। কিন্তু চা-বিরতির এক ওভার বাকি থাকতে হতাশ করে ফেরেন লিটন। ফেরার আগে ৫৬ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর প্রত্যাশাটা ছিল প্রবল। কিন্তু ৭৫ বলে ৩৫ রানে মুশফিক বিদায় নিলে ভাঙ্গে ১৭ রানের জুটি।

এ ম্যাচের আগের দিন থেকেই আলোচনায় ছিলেন অলরাউন্ডার মিরাজ। অসুস্থতা কাটিয়ে একাদশে ফিরে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ। ফিরেছেন ৪২ বলে ৩১ রান করে।

এরপর নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম দুজন ভালোভাবেই লঙ্কান বোলারদের সামাল দিচ্ছেলেন। কিন্তু দিনের এক ওভার বাকি থাকতেই আসিথা ফার্নান্দোর বলে ফিরে যান নাঈম। ফেরার আগে ৫১ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

এরপর দিনের বাকি সময় পার করে দেন তাইজুল আর ইবাদত হোসেন মিলে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো ও দিনুশা।