গল টেস্ট
লিড থেকে ১০ রান দূরে শ্রীলঙ্কাকে থামাল বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই গলে স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছিল উইকেট থেকে। সময় যত গড়িয়েছে পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। প্রথম সেশনে কিছুটা হতাশ করলেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই টাইগাররা ম্যাচে ফিরে এসেছে। নাঈম হাসানের স্পিনে দাপট দেখিয়েছে। ফাইফার তুলে নিয়েছেন এই অফ স্পিনার। এতে দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ২০ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
গলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ৪৮৫ রানে। এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৯৫ রান। ফলে ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৯ রান করা মিলান রত্নায়াকে ফেরান তিনি। এতে ভাঙে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে তার ৮৪ রানের জুটি। প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে হতাশ করে সেঞ্চুরির পথে হাটছিলেন মেন্ডিস। তাকেও কোনো সুযোগ দেননি নাঈম হাসান। স্পিন ঘূর্ণিতে মেন্ডিসকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন। ফেরার আগে ১৪৮ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।
বাকি দুই ব্যাটারকে আর উইকেটে দাঁড়াতে দেননি নাঈম। থারিন্দু রত্নায়াকে ফেরান কোনো রান তুলতে দেওয়ার আগেই। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরের পথ দেখান আসিথা ফার্নান্দোকে। ৪ রান করেন আসিথা। এই উইকেটের কল্যাণে ফাইফারের দেখা পান নাঈম।
এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই টাইগারদের উইকেট এনে দিয়েছিলেন নাঈম। লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছিলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ফেরার আগে ৩৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি। আজ কোনো রানই যোগ করতে পারেননি তিনি।
সপ্তম ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসা কুশাল মেন্ডিসকেও দাঁড়াতে দেয়নি হাসান মাহমুদ। টাইগার পেসারের লেগ সাইডের বাইরের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে। বাঁ-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লিটন। মেন্ডিস ফেরেন ১৭ বলে ৫ রান করে।
এরপর কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশনের বাকি সময় কাটিয়ে দিয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস আর মিলান রত্নায়াকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯০.২ ওভারে ৪৯৫/১০
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ১৩১.২ ওভারে ৪৮৫/১০ (নিশাঙ্কা ১৮৭, উদারা ২৯, চান্দিমাল ৫৪, ম্যাথুস ৩৯, কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭, ধনাঞ্জায়া ১৯, কুশাল মেন্ডিস ৫, মিলান রত্নায়াকে ৩৯, থারিন্দু রত্নায়াকে ০, জয়সুরিয়া ১১*, ফার্নান্দো ৪; হাসান মাহমুদ ২১-৪-৭৪-৩, নাহিদ রানা ১৯-০-৯৭-০, তাইজুল ৪১-৩-১৫৬-১, নাঈম ৪৩.২-৪-১২১-৫, মুমিনুল ৬-০-২৪-১)