জোড়া উইকেট হারানোর পর থিতু হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ। কিন্তু, জমে যাওয়া এই জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। দ্রুত রান নিতে গিয়ে তাওহিদের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে কপাল পুড়ে শান্তর। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩৬ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর বিদায় নেন তাওহিদ। দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য লড়ছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের সামনেও নড়বড়ে শুরু বাংলাদেশের

লক্ষ্যটা বড় নয়। জিততে চাই মাত্র ১৪৫ রান। এই রান তাড়া করতে নেমেও শুরুটা হতাশাজনক হয়েছে বাংলাদেশের। আগের ম্যাচের মতো আজও থিতু হয়নি ওপেনিং জুটি। প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। রানের খাতাও খুলতে পারেননি বাঁহাতি এ ওপেনার।

সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে মাঝারি লক্ষ্য

আগের ম্যাচ কেটেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ব্যাটে-বলের হতাশায় আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বাংলাদেশ দেখে লজ্জার হার। যাতে রীতিমতো সিরিজ হারানোর শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। তাই, জয় পেতে মরিয়া আজ যুক্তরাষ্ট্রকে যেতে দেয়নি বেশিদূর। আগে বোলিং করে যুক্তরাষ্ট্রকে দেড়শর নিচে থামিয়ে দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।  

টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রিয়ারে স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪৪ রান তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন মোনাক প্যাটেল।

বাংলাদেশকে খেলায় ফেরালেন মুস্তাফিজ  

তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিলেন মোনাক প্যাটেল ও অ্যারেন জোন্স। সাকিব-শরিফুলরা মিলে এই জুটি ভাঙতে না পারলে মুস্তাফিজকে আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে মিলেছে সফলতা। মুস্তাফিজ এসে বিদায় করেছেন জোন্সকে। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে ফিরেছেন জোন্স। তার বিদায়ে ভেঙেছে ৫৬ বলে গড়া ৬০ রানের জুটি।

ধাক্কা সামলে সাকিবদের পরীক্ষা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ভালো শুরুর পর দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ধাক্কা সামলে উঠেছে স্বাগতিকরা।  স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেলের পর আরেকটি দারুণ জুটি পেয়ে গেছে তারা। ক্রিজে থেকে লড়িয়ে জমিয়ে তুলেছেন প্যাটেল ও অ্যারন জোন্স। এই জুটি মিলে পরীক্ষা নিচ্ছেন সাকিব-রিশাদদের। ১২ ওভারে দলীয় রান ৯০ ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ভাঙল বাংলাদেশ

আগে বোলিং বেছে নিয়েও শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো উইকেটে জমে যায় ওপেনিং জুটি। ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেল। সাকিব-মুস্তাফিজদের ছক্কা হাঁকিয়ে বড় কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টেইলর। অবশেষে জমে যাওয়া টেইলরকে থামালেন রিশাদ হাসান।

দলীয় ৪৪ রানে টেইলরকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। ২৮ বলে ৩১ করেন তিনি। পরের বলেও রিশাদের ব্রেক থ্রু। তিনে নামা অ্যান্ড্রিসকে রানের খাতা খোলার আগেই মাঠছাড়া করেন রিশাদ। ভালো শুরুর পর জোড়া ধাক্কা খেল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ পেল লড়াইয়ের রসদ।  

ব্যর্থতায় জায়গা হারালেন লিটন

লম্বা সময় ধরে ব্যাটে রান নেই। বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু অভিজ্ঞতা আর কিপিংয়ের জোরে লিটন দাসের ঠাই মিলে যায় বিশ্বকাপের দলে।

সেই লিটনের সামনে আরেকটি বড় সুযোগ মেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ওপর ভরসা রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ভরসার মান রাখতে পারেননি তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে চরম হতাশায় ডোবান তিনি। দুইবার জীবন পেয়েও লিটন সেদিন থিতু হতে পারেননি। ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন ড্রেসিংরুমে।

এরপর আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আর দল তার ওপর আস্থা রাখেনি। তাকে ছাড়াই সাজিয়েছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির একাদশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লিটনকে বাদ দিয়ে তানজিদ তামিমকে একাদশে রেখেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি, তানজিম সাকিব ও শরিফুল ইসলাম।

সম্মান বাঁচানোর ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটা ছিল নিছকই প্রস্তুতির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটে-বলে বলে নিজেদের তাতিতে নেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। অথচ এক ম্যাচেই পাল্টে গেছে প্রেক্ষাপট। প্রস্তুতির ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্মান বাঁচানোর লড়াই। যে লড়াইয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রিয়ারে স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আগে টসে জিতেছে বাংলাদেশ । টস জিতে আগে বোলিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে স্বাগতিকরা। এই লজ্জা আটকাতেই আজ টেক্সাসের মাটিতে জয় চাই বাংলাদেশের। নাহলে বিশ্বকাপের আগেই চরম ধাক্কা খাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।