সেই ন্যু ক্যাম্পে বার্সার মুখোমুখি গার্দিওলা

ন্যু ক্যাম্পকে হাতের তালুর মতোই চেনেন পেপ গার্দিওলা। ১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার এই মাঠে নিয়মিত এসেছেন খেলোয়াড় হিসেবে। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পালন করেছেন বার্সার কোচের দায়িত্ব। ফুটবল-জীবনের অনেক স্মৃতিবিজড়িত মাঠটিতে আবার পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার গার্দিওলা ন্যু ক্যাম্পে পা রাখতে যাচ্ছেন কাতালানদের ‘শত্রু’ হিসেবে। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ। ২০১২ সালে বার্সা ছেড়ে বায়ার্নের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ন্যু ক্যাম্পে ফিরছেন গার্দিওলা।
বার্সেলোনার চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার তিনটিরই সাক্ষী গার্দিওলা। ১৯৯২ সালে বার্সার প্রথম ইউরোপ জয়ে বড় অবদান ছিল স্পেনের এই সাবেক মিডফিল্ডারের। ২০০৯ ও ২০১১ সালে তিনি ছিলেন বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী দলের কোচ। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সা কোচের দায়িত্ব পালন করে কাতালান ক্লাবটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময়ে বার্সা জিতেছিল ১৪টি শিরোপা। এবার সাবেক ক্লাবকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে চিরচেনা ন্যু ক্যাম্পে পা রাখতে যাচ্ছেন গার্দিওলা।
‘শত্রু’ শিবিরে থাকলেও প্রিয় কোচের প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনার তারকা মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ‘আমাদের মধ্যে এখনো সুসম্পর্ক বজায় আছে। আমরা একে অন্যকে অনেক দিন ধরে চিনি। আমরা একসঙ্গে অনেক দিন কাটিয়েছি, অনেক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছি। তাই আমাদের সবার জন্য দিনটা হবে বিশেষ কিছু।’
বার্সার বর্তমান কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গেও গভীর বন্ধুত্ব গার্দিওলার। ১৯৯৬-৯৭ থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গেই খেলেছেন কাতালানদের হয়ে। দুজনেই বার্সার মূল দলের কোচ হওয়ার আগে পালন করেছিলেন ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব।
তবে মাঠের বাইরের সুসম্পর্ক মাঠে নামার পর দূরে সরিয়ে রাখতে চাইবেন গার্দিওলা ও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। বার্সেলোনা উন্মুখ হয়ে আছে প্রতিশোধের জন্যও। ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে বার্সাকে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন। সে মৌসুমে জার্মান পরাশক্তিরা প্রথমবারের মতো ট্রেবলও জিতেছিল।