ছোটরাই পথ দেখাচ্ছেন বড়দের!

২০১৫ সালে দারুণ সব সাফল্য দিয়ে নিজেদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এখন যে শুধু আরো ওপরে ওঠার পালা, সেটাই যেন এ বছরের শুরুতে হাতেনাতে দেখিয়ে দিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। আইসিসি আয়োজিত কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করলেন মিরাজ-শান্ত-জাকিররা। কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৬ উইকেটের দারুণ জয় দিয়ে খুলে ফেললেন সাফল্যের নতুন এক অধ্যায়। বড়দেরও যেন দেখিয়ে দিলেন কীভাবে হাঁটতে হয় সাফল্যের পথে।
এ বছরের আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ফল এসেছিল ২০০৬ সালে। সেবার বাংলাদেশ গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। বিশ্বকাপ শেষ করেছিল পঞ্চম স্থান নিয়ে। সেই দলেই খেলেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় দলের তিন তারকা সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এবার তাঁদের ছাড়িয়েই গেলেন মিরাজরা।
২১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চাপের মুখে পড়লেও মিরাজ ও জাকির যেভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন, তা দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের আরো কত দূরে নিয়ে যেতে পারেন, তা জানার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে ক্রিকেট বিশ্বকে। সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে ফাইনাল, এমনকি শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠার স্বপ্নটাও আর অলীক মনে হচ্ছে না ক্রিকেটপ্রেমীদের।
তবে এখন পর্যন্ত মিরাজরা যা করেছেন, তা দিয়েই তাঁরা স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। ২০১৫ সালে বড়দের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ চলে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালের কাছাকাছি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের। এবার যেন সেই আক্ষেপের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন মিরাজরা।
বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা কিন্তু প্রত্যাশার পারদও চড়িয়ে দিয়েছেন অনেকখানি। এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকরা কি পারবেন ছোটদের দেখিয়ে দেওয়া পথে হাঁটতে?