এখনো আশাবাদী বিসিবি সভাপতি

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’র কারণে গত শনিবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সফর পিছিয়ে দেওয়ায় দুই টেস্টের সিরিজের সামনে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন। এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের নিজ-নিজ রাজ্য দলের পক্ষে অনুশীলনের নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে সিএ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান অবশ্য এখনো আশাবাদী। তাঁর আশা, সব দ্বিধা-সংশয় পেছনে ফেলে বাংলাদেশে আসবেই অস্ট্রেলিয়া।
গত সোমবার সিএর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারলের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে একই অঙ্গীকার করলেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সাধারণত বাংলাদেশে একটা বিদেশি দল যে ধরনের নিরাপত্তা পেয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়াকে তার চেয়েও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সরকারের তরফ থেকেও এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ভিভিআইপি মর্যাদার নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’
যতই জটিলতা তৈরি হোক, দুই টেস্টের সিরিজটি নিয়ে আশাবাদী নাজমুল হাসান, ‘আমরা এখনো আশা করছি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। বাংলাদেশের মানুষ একটি উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজ দেখতে পারবে। ঝুঁকির হুমকি আর অপ্রীতিকর ঘটনা আজকের পৃথিবীতে একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। এটা যেকোনো দেশে হতে পারে। সিরিজ নির্বিঘ্ন করতে আমরা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মতো বিশাল আসর সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ হলেও গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরোটাই হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে। সেসব সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিসিবি সভাপতির দাবি, ‘বাংলাদেশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অত্যন্ত সফলভাবে আয়োজন করেছে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪টি পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছিল বিসিবি। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করলে সেই সময়ের চেয়ে বর্তমান অবস্থা অনেক ভালো।’
গত শনিবার সফর পিছিয়ে দেওয়ার পরের দিনই ঢাকায় একটি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাঠায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। শন ক্যারলের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বিসিবি সভাপতি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে এক ইতালীয় নাগরিককে দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সেই রাতেই ঢাকা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হয়ে যায় পর্যবেক্ষক দলটি।