এই ওভালে ফিরবে কি সেই ওভালের স্মৃতি?

২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতিটা বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে এখনো জ্বলজ্বলে। সেবার ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে সেদিন যে বীরত্বগাথা রচিত হয়েছিল, তার ফলেই বদলে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারা। বাংলাদেশ আজ ক্রিকেটের যে অন্যতম পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে, তার বীজটা তো সেদিন অ্যাডিলেড ওভালে বপন হয়েছিল। প্রায় দুই বছর পর আবার সেই ওভালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। না, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল নয়, ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভাল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বলার মতো কোনো স্মৃতি এখনো বাংলাদেশের নেই। আজ এই ওভালে কি আরেকটি ইতিহাস লেখা হতে যাচ্ছে?
আর খানিক বাদে পর্দা উঠছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। ক্রিকেটবিশ্বের সেরা আট দল নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে অন্যদের মতো শিরোপার আশায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ চিরচেনা সেই ইংল্যান্ড। গত দুই বছরে যাদের তিনবার ওয়ানডেতে হারিয়েছে মাশিরাফি-সাকিবরা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৯ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। জয়ের পাল্লা অবশ্য ইংলিশদেরই ভারি। বাংলাদেশের চার জয়ের পাশে ইংলিশরা জিতেছে ১৫ ম্যাচে।
বড় আসরে ইংল্যান্ডকে হারাতে বেশ পারদর্শী টাইগাররা। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংলিশ লায়নদের ১৫ রানে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ব্যাটিং বীরত্বে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে রুবেল হোসেনের বিধ্বংসী স্পেলে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় মাশরাফির দল। এর আগেও ২০১১ সালে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারায় সাকিবের দল। চট্টগ্রামের সেই ম্যাচে জয় এনে দেন হঠাৎ ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়া শফিউল ও মিডলঅর্ডারের ব্যাটিংস্তম্ভ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইংলিশ-বধের অপর দুই ম্যাচের নায়ক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ওভালে আজকের ম্যাচে গত চারবার ইংল্যান্ড-বধের সব নায়কই স্কোয়াডে রয়েছেন। ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম। ব্রিস্টল, অ্যাডিলেড, মিরপুর বা চট্টগ্রাম—এই চার ম্যাচের নায়করা যদি আজ আবার জ্বলে উঠতে পারেন, তাহলে এই ওভালে সেই ওভালের স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনা কি খুবই অসম্ভব হবে?