অন্তত ড্র চাই মুশফিকের

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এর আগে একটিই টেস্ট হয়েছিল। ২০০৬ সালের এপ্রিলের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করে তিন উইকেটে হেরে গিয়েছিল ‘মহাপরাক্রমশালী’ অস্ট্রেলিয়ার কাছে। নয় বছর আগের সেই লড়াইয়ের স্মৃতি নিয়ে একই মাঠে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টে কেমন খেলবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা? অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, জিততে পারলে তো কথাই নেই, ড্র করলেও তিনি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারবেন।
urgentPhoto
মঙ্গলবার ফতুল্লা স্টেডিয়ামে টেস্ট-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণী শুনিয়ে মুশফিক বলেন, ‘ভারত খুব শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে তাদের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে। তা ছাড়া আমাদের ব্যাটসম্যানরা দারুণ ফর্মে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ঠিকঠাক হলে আমাদের পক্ষে জয় পাওয়াও সম্ভব। তা না হলেও অন্তত ড্র করা উচিত।’
সে জন্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছেন স্বাগতিকদের টেস্ট অধিনায়ক, ‘ম্যাচ জিততে হলে দলের সবারই কমবেশি ভূমিকা রাখা জরুরি। তবে ব্যাটসম্যানদের অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। ফতুল্লার উইকেট ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। কারণ, এই উইকেট সম্পর্কে আমরা এখনো সঠিক ধারণা পাইনি।’
এর আগে সাতটি টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হয়ে ছয়টিতেই হার মেনেছিল বাংলাদেশ। একমাত্র ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ড্র করেছিল। যদিও ওই ম্যাচের পুরো একটি দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। এবার ‘টিম ইন্ডিয়া’র বিপক্ষে সব হতাশা ঘোচানোর প্রতিজ্ঞা মুশফিকের কণ্ঠে, ‘পাঁচ বছর আগের সেই বাংলাদেশ আর নেই। দল হিসেবে বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে। ভারতকে হারানোর সামর্থ্যও আমাদের আছে। এখন সুযোগ এসেছে নিজেদের প্রমাণ করার।’
তবে সেটা যে কতটা কঠিন, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের পরের কথাতেই তা পরিষ্কার, ‘ভারতের এখন নতুন টেস্ট অধিনায়ক, তাদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড়ও এসেছে। তবু ভারতের এই দলটা বেশ শক্তিশালী। ভারতকে হারাতে হলে আমাদের প্রতিটি সেশনেই ভালো খেলতে হবে। একটা সেশন খারাপ খেললেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।’
শুধু ভারত নয়, তীব্র গরম নিয়েও দুশ্চিন্তায় মুশফিক, ‘এত গরমে ভালো খেলা খুব কঠিন। আমার মনে হচ্ছে, গরম এই ম্যাচে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।’