কারখানার আংশিক ভাড়া দেবে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি হামি ইন্ডাস্ট্রিজের (সাবেক নাম ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ) চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে কারখানার আংশিক ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে এই কোম্পানিটি অপর এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আজ রোববার (৩১ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসই জানায়, সুইফট নেক্সাস কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ। চুক্তিতে মতে, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর সাগরিকা সড়কে অবস্থিত ৩৫ হাজার বর্গফুটের কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৩৫০ বর্গফুট সুইফট নেক্সাস কর্পোরেশন ব্যবহার করবে। যার প্রতি বর্গফুট মাসিক ভাড়া ধরা হয়েছে ২০ টাকা। অগামী সোমবার থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। চুক্তির মেয়াদ ৮ মাস। অপরদিক গত মার্চ থেকে একই কারখানার ছয় হাজার ৭৫২ বর্গফুট লুব্রিকেন্ট এশিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছিল হামি ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতি বর্গফুট মাসিক ভাড়া ধরা হয়েছিল ২০ টাকা ।
কারখানার জায়গা ভাড়ার প্রসঙ্গে মুঠোফোনে কোম্পানির পরিচালক মো. শওকত আলী বলেন, কারখানার কার্যক্রমের জন্য পাঁচ হাজার বর্গফুট প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের আছে ৩৫ হাজার বর্গফুট। তাই কারখানায় অতিরিক্ত জায়গা ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কারখানার ছয় হাজার ৭৫২ বর্গফুট লুব্রিকেন্ট এশিয়ার কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এরপর দুই হাজার ৩৫০ বর্গফুট সুইফট নেক্সাস কর্পোরেশনের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিব হাসান মারা যান জানিয়ে কোম্পানির সচিব ওসমান গনি বলেন, এরপর নানা জটিলতা কাটিয়ে কোম্পানিটি সামনের দিতে এগিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ছয় পয়সা।
ওসমান গনি বলেন, কোম্পানিটি ২০২৩-২০২৪ সমাপ্ত হিসেবে অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ এখনো করতে পারিনি। তবে সামনে প্রকাশ করবো। পরে পর্যায়ক্রমে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদক প্রকাশ করা হবে।
ডিএসইর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ছয় পয়সা। আলোচিত অর্থবছরের তিন প্রান্তিক (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২১ পয়সা। ওই অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয় নেগেটিভ ৭৫ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানির ওই বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া সময়ের জন্যে এক শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তবে কোম্পানির ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ারধারী স্পনসর এবং পরিচালকদের বাদে। অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পাওয়ার রেকর্ড ডেট ছিল গত বছরের ২৬ জুন।
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৭৭ লাখ। রিজার্ভে রয়েছে নেগেটিভ ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩২ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে দুই দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে দুই দশমিক ২৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৪ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার রয়েছে।