সারা দেশে উল্টো রথ টানার মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এর আগে গত ২০ জুন রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মত অনুযায়ী জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগত হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছে জগতের ঈশ্বর। তাঁর অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ। ইসকনসহ রাজধানীর রাম-সীতা মন্দির এবং তাঁতীবাজার জগন্নাথ মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ইসকন উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিশাল শোভাযাত্রা বের করে। উল্টো রথযাত্রার উদ্বোধনী উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মেলা প্রঙ্গণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

পরে এখান থেকে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা পলাশীমোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, সচিবালয়, জিপিও, গুলিস্তান, বঙ্গভবন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলি হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।