আপনার জিজ্ঞাসা
মহররমের রোজা কোনদিন রাখতে হবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা রফিকুল ইসলাম আল মাদানী।
জুমাবারের সরাসরি সম্প্রচারিত বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসা অনুষ্ঠানের ৫১৫তম পর্বে মহররমের রোজা আরবি মাসের কোনদিনে রাখতে হবে, সে সম্পর্কে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : মহররমের রোজা কি ৯ এবং ১০ তারিখেই রাখতে হবে নাকি ১০ এবং ১১ তারিখে রাখলেও চলবে?
উত্তর : আল্লাহর রাসুল (সা.) এ ক্ষেত্রে একটি সুন্দর মূল নীতি দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) হতে এটি বর্ণিত হয়েছে এবং সহিহ মুসলিমেও রয়েছে এই হাদিসটি। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘রমজান মাসের পরে সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা।’ সে ক্ষেত্রে মহররম মাসে অনেক বেশি রোজা রাখতে পারেন। সেটি কিন্তু শুধু আশুরা নয়। আপনি এক তারিখ থেকে শুরু করে একদম ৩০ তারিখ পর্যন্ত ১০, ১৫, ২০টি, যত খুশি রোজা রাখতে পারেন। এটা হলো সর্বোত্তম। এর পর আশুরাকেন্দ্রিক যে রোজাগুলো, আশুরা মানে দশমী অর্থাৎ মহররম মাসের ১০ তারিখ, সেগুলো রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য একটি হাদিসে বলেছেন, ‘বিগত এক বছরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন।’ শুধু একদিন, অর্থাৎ আশুরার দিন, এটি সাব্যস্ত হয়েছে।
ওলামায়ে কেরাম এই ক্ষেত্রে চারটি ধারা বলেছেন। কেউ কেউ বলেছেন সর্বোত্তম হলো নয় এবং দশ। দ্বিতীয় ধাপে বলেছেন ১০ এবং ১১। তৃতীয় ধাপে বলেছেন নয়, ১০, ১১—এই তিনদিন একাধারে এবং চতুর্থ ধাপে বলেছেন সমস্যা থাকলে শুধু ১০ তারিখ রোজা রাখতে। কারণ রাসুল (সা.) নয় এবং ১০ তারিখ রোজা রাখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। এজন্য অনেকেই বলছেন যে নয়, ১০ রোজা রাখাই উত্তম। কেউ যদি নয় তারিখ রাখতে ব্যর্থ হন, সে ১০, ১১ রাখবেন বা শুধু ১০ তারিখেও মহররমের রোজা রাখতে পারবেন।