রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয় দিবস উদযাপন

‘মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজয়ের সঠিক ইতিহাস আমাদের জানতে হবে এবং বুঝতে হবে স্বাধীনতা কী। যে যেখানে আছি, সেখান থেকে সবাইকে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর মো. মেহেদী হাসান।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন এহসানুল রাফিদ আবিদ।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান নোমানী।
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে যথাক্রমে নবম শ্রেণির ‘খ’ শাখার শিক্ষার্থী আসমা আবেদীন ও অষ্টম শ্রেণির ‘ক’ শাখার শিক্ষার্থী এহসানুল রাফিদ আবিদ।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর মো. মেহেদী হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন।

জ্যেষ্ঠ শিক্ষক খাদেমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ফিন্যান্স ডিরেক্টর আবদুল হাকিম, কালচারাল ডিরেক্টর শফিকুল সিরাজুল হক, সিগনেটরি প্রকৌশলী গোফরান আহমেদ, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ রিয়াদের (আওয়ামী লীগ) সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযাদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মাদবর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন রিয়াদ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চঞ্চল, বিদ্যালয় পরিচালনা সাব-কমিটির সাবেক সদস্য আবুল কালাম আজাদ।

এ সময় বিআইএসআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা আরাফাত হাশেম দেওয়ান তানাজসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি, এর জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্য নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। এই বিজয় অর্জন করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অনেক বীর সন্তান। শিক্ষকদের দায়িত্ব হবে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জানানো।