রাজনীতি
গণতন্ত্র ও সমাবেশের অনুমতি

৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে বিএনপির ডাকা সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল দলটি। এরপর তারা নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৮ নভেম্বর অনুমতি চেয়েও পায়নি। এর আগে বলেছে ৯ তারিখে সমাবেশের অনুমতি দিলেও তারা রাজি, কিন্তু দলীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা সে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে অন্য জায়গায় অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে, যেখানে সমাবেশের জন্যে দলটি কোনো অনুমতি চায়নি। এ ছাড়া বিএনপি চেয়েছিল ‘সমাবেশ’ করতে, কিন্তু পুলিশের দেওয়া অনুমতি ছিল ‘আলোচনা সভার’। আবার এখানেও আছে ২৭টি শর্ত।
সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আলোচনা সভার অনুমতি দেওয়া ডিএমপি যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, আলোচনা সভা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে তাদের আবার অনুমতি দিতে হবে, বেলা ২টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টার মধ্যে আলোচনা সভা শেষ করতে হবে প্রভৃতি। তা ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া অনুমতি সংক্রান্ত চিঠিটি বিএনপির হাতে গিয়ে পৌঁছেছে কর্মসূচির দিন সকালে। অবশ্য আগের দিন সন্ধ্যায় ডিএমপির পক্ষ থেকে কর্মসূচির অনুমতির বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, ৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া বিএনপি সমাবেশ করতে চেয়েছিল ৮ তারিখে। এরপর তারা বলেছিল ৮ তারিখে অনুমতি না দিলে ৯ নভেম্বরের জন্য অনুমতি দিলেও তারা রাজি। এমন অবস্থায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে ফের চিঠি পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।
একটা সমাবেশের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি সমাবেশের তবু অনুমতি পায়নি। আর অনুমতি তারা যখন পেল, তখন সেটা তাদের আবেদিত স্থান ছিল না, আর সেটাও ছিল সমাবেশের বদলে স্রেফ আলোচনা সভার। এমন পরিস্থিতিতে এটা সহজেই বোঝা যায় যে সরকার ও প্রশাসন বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিতে মোটেও রাজি নয়। শেষ মুহূর্তে সমাবেশের বদলে আলোচনা সভা আয়োজনের যে অনুমতি দিয়েছে সেটা আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়!
এমন কেন করল পুলিশ? তাদের কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ থাকার কথা নয়। তারা সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে কেন একটা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকারকে হরণ করল?
এর আগে এ সমাবেশের অনুমতির বিষয় নিয়ে অনেক জলও ঘোলা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বিএনপির চিঠি পাননি এমন দাবিও করেছিলেন, কিন্তু বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সাংবাদিকদের চিঠির রিসিভ কপি দেখানোর কারণে পুলিশের বক্তব্য অসত্য বলে প্রমাণ হয়। হতে পারে ডিএমপি কমিশনার তাদের অফিস কর্তৃক চিঠি প্রাপ্তির সংবাদ জানতেন না, কিন্তু তাই বলে চিঠি পাইনি এমন দাবি করাটা ছিল শ্রুতিকটু ব্যাপার।
সংবিধানে বর্ণিত সভা-সমাবেশের অধিকারপ্রাপ্তি বিএনপিরও রয়েছে। বিএনপি যেহেতু বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক দল নয়, সেহেতু পুলিশে উচিত ছিল সমাবেশের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা। এ ক্ষেত্রে সরকারের মনোভাবও নমনীয় হওয়া উচিত ছিল।
বিএনপি ৭ নভেম্বর তাদের ভাষায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসে সমাবেশের মাধ্যমে দলীয় রাজনীতিকে আবারও মাঠে ফিরিয়ে আনার একটা উপলক্ষ পেয়েছিল, কিন্তু বিএনপির এমন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছিলেন তাঁরা বিএনপির ওই সমাবেশ প্রতিহত করবেন। সাধারণভাবে এর রাজনৈতিক অর্থ খুঁজলে বলা যেত, বিএনপির ওই সমাবেশের বিপরীতে একই দিন অথবা কাছাকাছি কোনো দিন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করে এর পাল্টা জবাব অথবা সমর্থক-শক্তি প্রকাশ করবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজনীতির পাল্টা রাজনীতি করতে দলকে ব্যবহার না করে সরকারি শক্তি বা প্রশাসনকেই ব্যবহার করে। ফলে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পায়নি।
৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পায়নি, একই দিন একই স্থানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সমাবেশের কর্মসূচিও ছিল। একই স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের সমাবেশের কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল স্বাভাবিকভাবেই, এ ক্ষেত্রে ডিএমপির পক্ষ থেকে কাউকেই অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টিকে মেনে নেওয়া গেলেও নয়াপল্টনের সমাবেশের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি ছিল না। আর শেষ মুহূর্তে ভিন্ন স্থানে সমাবেশের বদলে আলোচনা সভার অনুমতি দলটির সঙ্গে প্রশাসনের নির্মম এক রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়!
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের কাজ সরকারি দলের উদ্দেশ্য সাধন নয়, তাদের জব অবজেক্টিভে রাজনীতি থাকার কথা নয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলকেই তাদের সমান চোখে দেখা উচিত। সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া এবং শেষ মুহূর্তে আবেদিত নয় এমন স্থানে স্রেফ আলোচনা সভার অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে সরকার পুলিশকে দলীয়ভাবে প্রভাবিত করেছে বলেই আশঙ্কা- এটা যদি সত্য হয়ে তবে বাজে এক নজির নিঃসন্দেহে। হতে পারে বিএনপিও ক্ষমতায় থাকাকালীন একইভাবে পুলিশকে দলীয় চিন্তায় প্রভাবিত ও পরিচালনা করেছে। তাই বলে এ খারাপ নজির কি রীতি হয়ে যাবে? এর পরিবর্তন হওয়া জরুরি ছিল।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির ডাকা অবরোধে জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি সত্য, কিন্তু এরপর একে কেন্দ্র করে বিএনপির রাজনীতির অধিকারকেই সংকুচিত করে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। ওই আন্দোলনে অগণতান্ত্রিক ধারা অনুসরণ ও নাশকতা হয়েছে সেটাকে মনে রেখেই সরকার যদি বিএনপির রাজনীতিকে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি না করে মাঠেও সুযোগ দিত তবে দেশের গণতন্ত্রই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেত, আর সরকারও প্রশংসিত হতো। সরকার কেন ওই পথে যাচ্ছে না? আওয়ামী লীগ-প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু তাঁর শাসনামলেই গণতন্ত্রকে কেন এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে।
৭ নভেম্বর দিনটিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাসদ তিন নামে পালন করে থাকে। ফলে দলটির আবেদন একেক দলের কাছে একেক রকম। সে কারণে সাধারণ মানুষও অনেকটাই বিভ্রান্ত। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে। এরপর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে একসময় প্রতিষ্ঠা পায় বিএনপি। সে হিসেবে দিনটি বিএনপির কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পালাবদলের একপর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়া ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। পরে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা নেন, তাঁর তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় বিএনপি। বিএনপির কাছে এই দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস, আওয়ামী লীগের কাছে এটা ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদের কাছে দিনটি ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’।
বিএনপির কাছে তাৎপর্যবহ দিনটিকে কেন্দ্র করে দলটি রাজনীতির মাঠে ফিরতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে সপ্তাহখানেক ধরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পরস্পরকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দেওয়ার যে বিষয়টি ছিল সেটাও মুহূর্তে চুপসে গেছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের কর্মসূচিকে প্রশাসনিক ক্ষমতা ও কৌশল দ্বারা প্রতিহত করেছে। যা গণতান্ত্রিক অধিকারকে অনেকটা সীমিত করে দেওয়ার নামান্তর।
একটা দিবসকে কেন্দ্র করে আদর্শিক দিক থেকে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা দুই দল পৃথক স্থানে কর্মসূচি পালন করলে সমস্যা হতো না। ফলে সমাবেশের অনুমতি দিলেও কোনো ক্ষতি হতো না বলে মনে হয়। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতিতে নেই বিএনপি, তাদের সরকারবিরোধী বক্তৃতা-বিবৃতি সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভাতেই সীমাবদ্ধ। এমন অবস্থায় দলটি সাংগঠনিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই ধারণা। সমাবেশের মাধ্যমে প্রকাশ্য মাঠের রাজনীতিতে এলে দলটির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হতো। আর আওয়ামী লীগের ওপর চেপে বসা গণতন্ত্র হরণের অপবাদ কিছুটা হলেও ঘুচত।
জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকার পরেও আওয়ামী লীগের পর বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিই। জাতীয় পার্টি (জাপা) সংসদের বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করলেও দলটি যে আওয়ামী লীগের ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ হিসেবে টিকে আছে এটা জাপা নেতারাও স্বীকার করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতিকে মাঠে ফেরার সহায়তা করলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রই প্রাতিষ্ঠানিক রূপলাভের পথে এগিয়ে যেত।
বিএনপির সঙ্গে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর জোট বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ভালো চোখে দেখে না। খোদ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর দশম সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে বিএনপির আন্দোলনের সময়কার সমূহ নাশকতা জামায়াত-শিবিরের মাধ্যমে সংঘটিত হলেও বড় ও নেতৃত্ব প্রদানকারী দল হিসেবে দোষ গিয়ে পড়েছে বিএনপিরই কাঁধে। সে ক্ষেত্রে জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি জোট গড়লে সভা-সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া এবং অন্যান্য সকল বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষ অন্তত সামান্য হলেও কথা বলতে শুরু করবে বলে মনে হয়, যা আখেরে বিএনপিরই পক্ষে যাবে।
৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সমাবেশের অনুমতি পেলে একদিনের এক সমাবেশে সরকারের পতন হয়ে যেত এমন না। কিন্তু তবু বিএনপি সরাসরি সে অনুমতি পায়নি। বিএনপির রাজনীতি মাঠে ফিরলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হয়ে যাবে এমন ভাবনা অমূলক, কারণ আওয়ামী লীগ ও সরকারবিরোধী যে জনমত সেটা প্রধানত বিএনপির দিকেই ধাবিত। বিএনপি মাঠে থাকুক আর নাই থাকুক, এটা আওয়ামী লীগের পক্ষে যাবে না। আর রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিশেষত এই মুহূর্তের বিএনপি না থাকলে অন্ধকারের আততায়ীরা শক্তিশালী হবে। অন্ধকারের আততায়ীদের জন্য দরকার প্রতিকূল এক রাজনৈতিক পরিবেশ যেখান দিয়ে তারা বেড়ে উঠবে গোপনে আর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নপ্রয়াসে।
যেসব দেশে প্রকাশ্য রাজনীতির পরিবেশ নেই, সেসব দেশে গোপনে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো বেড়ে ওঠে, ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে এটা এখন ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কেন সেটাকে হালকা করে দেখব? আমাদের দরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করা। অন্ধকারের অপশক্তির বেড়ে ওঠার পথ রুদ্ধ করুন! সভা-সমাবেশের অধিকারকে রুদ্ধ না করে অবারিত করে দিন, গণতন্ত্রের স্বার্থে!
স্মরণ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ সারা ঢাকা শহর ছিল আওয়ামী লীগের প্রচারণাকেন্দ্রিক দখলে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলে দলটির জন্য অনুমতি পাওয়া কোনো ব্যাপারই ছিল না। সরকারে থাকার কারণে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছে দলটি। এমন অবস্থায় বিএনপিকে একদিনের জন্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে সমাবেশের জন্যে অনুমতি দিলে সরকারের পতন হয়ে যেত এমন না। তাহলে এমন কেন হচ্ছে?
বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পেলে যতটা না লাভবান হতো দলটি, তার চেয়ে বেশি লাভবান হতো সরকার ও আওয়ামী লীগ। কারণ এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের কাঁধে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের অধিকার হরণের কালো তকমার অভিযোগ। একটা সমাবেশের অনুমতি পারত অনেক ইতিবাচক কিছু করতে। দুর্ভাগ্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির, যেখানে ইতিবাচক কিছু ঘটে না, আবার সে পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয় সময়ে-সময়ে!
লেখক : প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম