Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

শরতের আকাশে উঁকি দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা

আলো ঝলমল ব্যালন ডি’অর

গ্ল্যামার গার্ল হানিয়া আমির

ওয়েব সিরিজে দ্যুতি ছড়ালেন তাজ্জি

নেপালে কারফিউ, নিরাপত্তার  দায়িত্বে সেনাবাহিনী

নেপালে বিক্ষোভের পর যা হলো

ফুরফুরে মেজাজে মিমি

প্রাণোচ্ছল হাসিতে তিশা

মিষ্টি হাসিতে তটিনী

সাদা-কালোয় সাদিয়া আয়মান

ভিডিও
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৬৪৩
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৬৪৩
কাজিন্স : পর্ব ৩৪
কাজিন্স : পর্ব ৩৪
৭ কিলো ১ গ্রাম : পর্ব ৭
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪২৮ (সরাসরি)
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ৭৩
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ৭৩
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৫৫
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৫৫
জোনাকির আলো : পর্ব ১৫৬
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬৭
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ৭৩
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ৭৩
কোরআনুল কারিম : পর্ব ৮৬
কোরআনুল কারিম : পর্ব ৮৬
আমীন আল রশীদ
১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫
আমীন আল রশীদ
১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫
আরও খবর
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে গণতন্ত্র ধসে পড়েছে
মোবাইল ফোনে আমরা কী দেখি, কোথায় হারিয়ে যাই?
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই

পরিবেশ ও প্রকৃতি

চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ বনাম সুন্দরবন

আমীন আল রশীদ
১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫
আমীন আল রশীদ
১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১৬:৩১, ২০ অক্টোবর ২০১৫

পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ গ্রহণ করে দেশে ফিরেছেন, তার কয়েকদিন পর সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার প্রতিবাদ সমাবেশ ও র‍্যালিতে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।

১৭ অক্টোবর মাগুরায় সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন অন্তত পাঁচজন।সংখ্যাটি হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু টেলিভিশনের খবরে পুলিশের পিটুনির যে ছবি দেখা গেছে, তা খুবই লজ্জার।

এ অবস্থায় সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে ২৬ নভেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।পাশাপাশি ৩০ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগেই রামপাল প্রকল্প বাতিল না করলে ‘চল চল ঢাকা চল, সুন্দরবন রক্ষা কর’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী বা উদ্যোগ গ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবার যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের অন্যতম।

চলতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলম্যান, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ব্রাজিলীয় কসমেটিক ফার্ম নাচুরা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকারী সংগঠন ব্ল্যাক মামবা এন্টি পোচিং ইউনিট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার কারণ হিসেবে জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ইউএনইপির এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের (আরওএপি) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেশগতভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সামগ্রিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি হচ্ছে এই পুরস্কার।

২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, একই বছর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ২০১১ সালে সংবিধানের সংশোধনীতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার বিষয় যুক্ত করার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয় জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা।

সুতরাং পরিবেশ রক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে যাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ পুরস্কার দেওয়া হলো, তাঁর সরকার অন্তত পরিবেশবিধ্বংসী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না, দেশের মানুষ সেটিই আশা করে।যদিও রামপাল ইস্যুতে সরকারের দাবির সঙ্গে এই প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের বক্তব্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন হলেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না। একই কথা বলা হচ্ছে ভারতের তরফ থেকেও।মাগুরায় যেদিন বামমোর্চার কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠি চালায়, তার পরের দিন ১৮ অক্টোবর সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, রামপাল প্রকল্প হবে পরিবেশবান্ধব।

কেন রামপালের বিরোধিতা

২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল, সেখানে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালনের একটি প্রস্তাব ছিল। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১২ সালে সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে দুটি ৬৬০ ইউনিট মিলে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চুক্তি সই হয়। এর আগেই ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি করা হয় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে,এই রূপরেখা চূড়ান্ত করার আগে কোনো ধরনের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হয়নি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছ, প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রয়েছে ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি, যেখানে বছরে ৬২ হাজার ৩৫৩ টন ধান এবং এক লাখ ৪০ হাজার ৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়। ম্যানগ্রোভ বনের সঙ্গে এই এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এখানে বছরে পাঁচ হাজার মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদিত হয়।কিন্তু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করতে গেলে প্রকল্প এলাকার ফসল ও মৎস্য সম্পদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

তা ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনা-নেওয়ার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌযানের চলাচল, ক্ষতিকর রাসায়নিক ও তেলসহ কঠিন ও তরল বর্জ্য নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো দূষণ ইত্যাদিও সুন্দরবনের প্রাণিদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।বিশেষ করে অতিরিক্ত নৌযান চলাচলের ফলে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, গরান বন ইত্যাদির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

ভারতের এনটিপিসি কোম্পানি সেই দেশের ছত্তিশগড়ে একই প্রকল্প অর্থাৎ একটি ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গ্রিন প্যানেলের ইআইএ রিপোর্ট প্রকল্পটিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে প্রতিবেদন দেয়। ফলে ভারত সরকার প্রকল্পটি বাতিল করে। যে কারণে রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের প্রশ্ন, যে প্রকল্পটি তার জন্মভূমি ভারতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হলো সেটি বাংলাদেশে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেল কীভাবে?

তবে কেবল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পই নয়; সুন্দরবন সংলগ্ন যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই এই স্পর্শকাতর বনের জন্য হুমকি।সুতরাং এই প্রকল্পটি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত না নিলে এই বিতর্কের জন্ম হতো না। কেন না নদীপথে কয়লা আনা-নেয়ার সুবিধা আছে, দেশে এ রকম জায়গার অভাব নেই।বাগেরহাটের অদূরে পিরোজপুর, ঝালকাঠি কিংবা বরিশালের নদীগুলোর আশপাশে প্রচুর জমি আছে, যেখানে এই প্রকল্প করা সম্ভব এবং সেটি করা হলে এই প্রকল্পের বিরোধিতার প্রশ্ন আসত  না।

তবে সুন্দরবনের কাছেই কেন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে- এর জবাব সরকার নানাভাবে দিচ্ছে। একটা জবাব তাদের এ রকম যে, নদীপথে কয়লা পরিবহনে সুবিধা হবে এবং এটি রামপালের চেয়ে বেশি দূরে নিয়ে গেলে খরচ বাড়বে। তাহলে পাল্টা প্রশ্ন করা যায়, কয়লা পরিবহনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ট্রেন। সুতরাং ট্রেনে ভারত থেকে কয়লা এনে উত্তরবঙ্গের কোথাও এই প্রকল্প করা হচ্ছে না কেন?

কেউ কেউ এ রকমটিও বলার চেষ্টা করেন যে, পৃথিবীর অনেক দেশেই খোদ শহরের মধ্যেই লোকালয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। সুতরাং সুন্দরবনের পাশে করলে অসুবিধা কী? তাদের কাছে জিজ্ঞাস্য, পৃথিবীতে কয়টা সুন্দরবন আছে?

রাজনৈতিক দলের অবস্থান

সুন্দরবন রক্ষা তথা রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দল আর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোই সোচ্চার। তারাই লংমার্চ করছে, সভা-সমাবেশ আর মানববন্ধনে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যদিও সরকারের অংশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রামপাল ইস্যুতে চুপ।তারা সরকারে না থাকলে হয়তো রামপাল ইস্যুতে আন্দোলনের নেতৃত্বেই থাকত।

তবে রামপাল ইস্যুতে বিরোধী দলগুল, বিশেষ করে বিএনপি-জাতীয় পার্টি ও ইসলামিক দলগুলোর ওই অর্থে কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই।

সংবিধান মতে জাতীয় পার্টি এখন দেশের প্রধান বিরোধী দল।কিন্তু এই দলের ভূমিকা এখন ‘সরকারি বিরোধী’ দলের। এই দলের প্রধান এইচ এম এরশাদ কয়দিন পরপর বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের যে সমালোচনা করেন এবং মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন, তা যে স্রেফ লোক দেখানো, তা যেকোনো নাগরিকের পক্ষে বোঝা সহজ। কেননা এত হুমকি-ধমকির পরও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

রামপাল ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানও খুব স্পষ্ট নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে খুলনায় এক জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দেন, রামপাল প্রকল্প হতে দেওয়া হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, এই প্রকল্প সুন্দরবন ধ্বংস করে দেবে। এ ছাড়া চলতি বছরের ১১ জুন সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল থেকে সরে এসে বিকল্প স্থানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক  আসাদুজ্জামান রিপন। বলেন, সরকার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করতে যে চুক্তি করেছে, সেখানে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মাত্র ১৩ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ। আর যাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, সেসব কোম্পানি পাবে ৮৭ শতাংশ। এটি কোনোভাবেই দেশের স্বার্থের অনুকূল নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাস্তবতা হলো, ভারতের স্বার্থ রয়েছে এমন কোনো প্রকল্পের বিরোধিতা করার ক্ষমতা বিএনপি-আওয়ামী লীগ কারোরই খুব একটা  নেই। সবশেষ বেগম জিয়া যখন ভারত সফর করলেন, তখন দেশের অনেক সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা বলেছিলেন, বিএনপি তাদের তথাকথিত ভারতবিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসছে। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র নেতা তরিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বিএনপি কখনো ভারতের বিরোধিতা করেনি। বরং জাতীয় স্বার্থে কথা বলেছে।’ সুতরাং বিএনপি মুখে মুখে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও আখেরে সেটি যে সরকারের বিরোধিতারই অংশ, তা বললে বোধ হয় ভুল হবে না।

রামপাল হবেই

রামপাল হবেই, সবকিছু দেখেশুনে এমনটাই মনে হচ্ছে। এর কারণ, এটি এককভাবে বাংলাদেশের কোনো প্রকল্প নয়। এটি ভারতের সাথে যৌথ অংশীদারত্বের প্রকল্প।সুতরাং কয়েকটি বাম রাজেনৈতিক দল আর পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবির মুখে সরকার যদি এই প্রকল্প থেকে সরে আসে, তাহলে ভারত সরকারের কাছে এই বার্তা যাবে যে, বাংলাদেশে বামপন্থী দল ও পরিবেশবাদী সংগঠনের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তা ছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাতেও শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে তার যেকোনো মূল্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। অতএব বন্ধুরাষ্ট্রের সাথে সম্পাদিত কোনো চুক্তি কিছু দল আর সংগঠনের দাবি কিংবা চাপের মুখে বাতিল হবে, সেটি বোধ হয় ভাবার আপাতত কোনো কারণ নেই।

 

লেখক : যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে এবার মামলা ঠুকেছেন সেই সমীর ওয়াংখেড়ে
  2. ‘দয়া করে একা থাকতে দিন...’, কার উপর রেগে গেলেন আমির খানের বান্ধবী?
  3. শাহরুখের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের পর হাত ধুইনি: প্রকৃতি মিশ্র
  4. ১৪ বছর আগেই মা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যাটরিনা!
  5. শাহরুখের ৩৩ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, উড়ন্ত চুম্বনে ভাসল দিল্লি
  6. মা হচ্ছেন ক্যাটরিনা
সর্বাধিক পঠিত

শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে এবার মামলা ঠুকেছেন সেই সমীর ওয়াংখেড়ে

‘দয়া করে একা থাকতে দিন...’, কার উপর রেগে গেলেন আমির খানের বান্ধবী?

শাহরুখের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের পর হাত ধুইনি: প্রকৃতি মিশ্র

১৪ বছর আগেই মা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যাটরিনা!

শাহরুখের ৩৩ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, উড়ন্ত চুম্বনে ভাসল দিল্লি

ভিডিও
নাটক : সুবাসিনী
নাটক : সুবাসিনী
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ৭৩
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ৭৩
আলোকপাত : পর্ব ৭৯০
আলোকপাত : পর্ব ৭৯০
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৫৫
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৫৫
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৪৩৬
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৪৩৬
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮৮
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩১৬
কাজিন্স : পর্ব ৩৪
কাজিন্স : পর্ব ৩৪
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬৭
৭ কিলো ১ গ্রাম : পর্ব ৭

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive
  • My Report

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x