Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

স্নিগ্ধ নাজনীন নিহা

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

রোমান্টিক শহরে মেহজাবীন

বিয়ের পিড়িতে জেফ বেজোস - লরেন সানচেজ

জন্মদিনে রুক্মিণী

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

ভিডিও
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৪
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৪
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৪
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৪
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৩
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ৭
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬২
নাটক : রক্ত জবা
নাটক : রক্ত জবা
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬১
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬১
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:২২, ১১ মে ২০১৭
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:২২, ১১ মে ২০১৭
আপডেট: ১৩:২২, ১১ মে ২০১৭
আরও খবর
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই
জয়ের ঘনঘন বক্তব্য বদলের ব্যাখ্যা দিলেন আলী রীয়াজ
পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঠাগারগুলো টিকিয়ে রাখতে কী করা যেতে পারে

বিএনপির রূপকল্প-২০৩০

গণমানুষের ভাগ্যবদলের সনদ

ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:২২, ১১ মে ২০১৭
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:২২, ১১ মে ২০১৭
আপডেট: ১৩:২২, ১১ মে ২০১৭

নির্বাচনের পূর্বাহ্নে রাজনৈতিক দলগুলো তার মিশন ও ভিশন নিয়ে তৎপর হবে, এটাই স্বাভাবিক। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১৮-এর শেষে অথবা ২০১৯-এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। সরকারি দল অনেকটা আগেই মাঠে নেমেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রীতিমতো জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনে কথা আনছেন না।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বৈকূল্যের কারণে সরকারি দলে মনস্তাত্ত্বিক হতাশা রয়েছে। তারা ভালো করে জানে যে, তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। অন্যদিকে, ওই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার ফলে সেখানেও এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। বিগত কয়েক বছরে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিএনপির ওপর যে অন্যায়-অনাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন চলেছে তাতে বিএনপির অবস্থা নাজুক। কিন্তু নীরব বিপুল জনগোষ্ঠী বিএনপির সমর্থনের শক্তি ও সমর্থনের ভিত্তি। ক্রমশ সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে তারা। সুতরাং সমাগত নির্বাচন বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমাধান সুদূরপরাহত হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থীর কথা বলে কার্যত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১০ মে বহুল প্রত্যাশিত ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে বিএনপির সদিচ্ছা ও সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশ্য খালেদা জিয়ার এই ইতিবাচক বক্তব্যকে চিরাচরিত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করেছেন।

খালেদা জিয়ার পুরো বক্তব্যটি যদি নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে স্বীকার করতেই হবে যে এতে একটি নতুন ধারার রাজনীতির আহ্বান রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বলে আসছিল যে দেশের দুটো প্রধান দল আসলে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কয়েক দশক ধরে গণতান্ত্রিক সময়কালকে বিশ্লেষণ করলে তাদের এ বক্তব্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের গত আট বছরে রাজনৈতিক ভিন্নমত দলনের কারণে সিভিল সোসাইটি অনেক দুর্বল হলেও তাদের এ বোধটি টনটনে রয়েছে যে, এ দুদল দিয়ে ভালো কিছু আসা করা যায় না। বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ইতিমধ্যে অনুভূত দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় এবং সংবিধানে এককেন্দ্রিক ক্ষমতার বিন্যাসের কারণে অনেকেই ছিলেন হতাশ। ক্ষমতার ভারসাম্য বিধানে উত্তরাধিকার রাজনীতির কেউ সংস্কারের কথা বলবেন, এটা ছিল বিস্ময়ের ব্যাপার। কিন্তু খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০-এ সেই বিস্ময়ের প্রকাশ ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ভাষণটি যুগান্তকারী বলা যায়। ভাষণটি সুলিখিত, সুদীর্ঘ এবং সর্বব্যাপী। এ ভাষণে এমন কোনো বিষয় বাদ যায়নি, যা আমাদের সমাজে দৃশ্যমান নয়।

ভিশন-২০৩০-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, ক্ষমতার ভারসাম্য বিধানে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রস্তাবনা। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের বড় একটি কারণ হচ্ছে ‘ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন’। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যাঁরা যখনই ক্ষমতায় যান, তখন তাঁরা ক্ষমতার সপক্ষেই থাকেন। সামরিক সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেশ জোরেশোরেই বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। যেহেতু বিষয়টি সাংবিধানিক, সে জন্য অন্য বিষয়ের মতো চট করে কোনো অধ্যাদেশ বা আদেশের বলে এটি সংশোধন করা যায়নি। ওই সরকার এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের চেষ্টা করেছিল। প্রধান দুটি দল তাদের এ চেষ্টাকে যথার্থভাবেই অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রাসঙ্গিক এবং অনার্থক বিবেচনা করেছে। এ সংশোধনীর প্রস্তাব অজনপ্রিয় সরকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিষয়টি ছিল জনপ্রিয়। মনে মনে বাংলাদেশের তাবত সচেতন মানুষ এ সংশোধনীর পক্ষেই মতামত পোষণ করে। খালেদা জিয়া তাঁর প্রস্তাবনায় বলেন, রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়নে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতি পদটি আলংকারিক মাত্র। দীর্ঘ ৪৫ বছরের শাসন অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ সাংবিধানিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী কারো হাতেই কেন্দ্রীভূত হওয়া যৌক্তিক নয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব, সামাজিক অস্থিরতা এবং প্রয়োগিক অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সেই বহুল উচ্চারিত প্রবাদ ‘সার্বিক ক্ষমতা সার্বিকভাবেই ব্যক্তিকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে’। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য একটি অনিবার্য বিষয়। দক্ষিণ এশিয়া বা সার্কভুক্ত দেশগুলোতে এ ধরনের ক্ষমতার ভারসাম্যের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালের সাম্প্রতিক প্রণিত সংবিধানের কথা বলা যেতে পারে। ভারত একটি ফেডারেশন এবং পার্লামেন্টারি সরকারশাসিত হওয়ার কারণে রাষ্ট্রপতি পদটি আনুষ্ঠানিক হওয়াই স্বাভাবিক। খালেদা খালেদা জিয়া সত্যি সত্যি যদি কাজটি করতে পারেন, তাহলে তিনি বাংলাদেশে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বলা বাহুল্য, এটি নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি এবং তার সমমনা দলগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ওপর। সকলেই বোঝে, যদি আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তাহলে পরিবর্তন অনিবার্য। আর বাংলাদেশের মানুষ যারে দেয়, তারে উজাড় করে দেয়। এ কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন অসম্ভব হবে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞজনচিতভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের কথা বলেছেন। তাঁর একটি প্রস্তাব অভিনবত্বের দাবি রাখে। এটি হচ্ছে, জাতীয় সংসদের ‘দ্বিকক্ষে’ উন্নীতকরণ। বিষয়টি এত দিন জাসদ, বাসদ ও বামদের দাবি ছিল। বিএনপির মতো বড় দলের এ প্রস্তাবে অনেকেই হকচকিত হয়েছেন। প্রস্তাবণাটির ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি, তবে সাধারণ জ্ঞান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে রাজনৈতিকভাবে নানা মত ও নানা দলের তথা পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির জন্য এ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পৃথিবীর উন্নত গণতন্ত্রে রয়েছে। ভারতেও পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষ রয়েছে। খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে আগের দিন প্রভাবশালী দৈনিকগুলোতে খবর বেরিয়েছিল, বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলে এই নিয়ে বড় ধরনের বিভক্তি রয়েছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, এতে বিভক্তি, কোন্দল আর বাড়বে বৈ কমবে না। আরো বলা যায় যে বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা হয়তো বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চকক্ষকে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় মনে করবে। যা হোক, বিএনপি প্রস্তাবটিকে পরীক্ষামূলক বলেই অভিহিত করেছে। জনমত যাচাই এবং বিজ্ঞজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিষয়টি সংযোজিত অথবা বিয়োজিত হতে পারে। খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীনদের দ্বারা সংশোধিত সব বিষয়ই পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। সংসদীয় রাজনীতির প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলকে যথার্থভাবে শামিল করার প্রস্তাব রেখেছেন।

বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় সবচেয়ে যে বিষয়টির অভাব অনুভূত হয় সেটি হচ্ছে ‘সুশাসন’। মানুষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর শাসন চায় না। চায় ‘আইনের শাসন’। জনগণ উন্নয়ন চায়, কিন্তু তা সুশাসনের বিনিময়ে নয়। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এসবই সুশাসনের লক্ষণ। খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সুশাসন, সুনীতি ও সুসরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক সৃষ্টির জন্য জাতি গঠন প্রয়াসের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। সুশাসনের জন্য তিনি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক দক্ষতা, রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে আরো বলেন, ইতিপূর্বে রাজনৈতিক বিভাজনের নামে যে রক্তক্ষরণ বা যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, তার তিনি অবসান ঘটাতে চান।

২৫৬ দফাবিশিষ্ট দীর্ঘ ভাষণটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ সীমিত। তাঁর বক্তৃতা যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের ভালো লাগবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ উজ্জীবিত হবেন। বর্তমান মেধাবী প্রজন্মের মনে নিয়োগ ক্ষেত্রে কোটার বিরুদ্ধে যে নীরব বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে, খালেদা জিয়ার সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। পাশ্চাত্যের কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণায় বেকার যুবক ও দেশের সিনিয়র নাগরিকদের জন্য তিনি ভাতার ঘোষাণা দিয়েছেন। সমাজের দুস্থ, দরিদ্র ও হতভাগ্য মানুষের জন্য তিনি ‘সামাজিক নিরাপত্তাবলয়’ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞা করেছেন। সর্বক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বেতন-ভাতা পর্যালোচনার ব্যবস্থা থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া তিনি পুলিশের নিরপেক্ষতা, আমলাতন্ত্রের সক্ষমতা, দুর্নীতি রোধ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিরসনের কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের সামাজিক মূল্যবোধের নিদারুণ অবক্ষয়ের মনোবেদনার কথা বলেন। তিনি তরুণদের মানবিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যব্যবস্থার কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধীদের অনৈতিক বরখাস্ত ও অন্যায় নির্যাতন না করার প্রতিশ্রুতি দেন। দৃশ্যত বর্তমান সরকারের অনুরূপ ব্যবহারের বিপরীতে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিলেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের কথা বলেন। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবা, পরিবেশ রক্ষা, খাল খনন, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন। তিনি যুবসমাজকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযোগী করে গোড়া তোলার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ক্ষুদ্র পাহাড়ি গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাঁর উৎসাহ, উদ্দীপনাময় এ ভিশনকে ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতির ফাঁপা বেলুন’ বলে অভিহিত করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খালেদা জিয়ার ভাষণ-পরবর্তী তাৎক্ষণিক মন্তব্যে ভাষণটিকে তামাশা, প্রতারণা ও অসার প্রলাপ ইত্যাদি অভিধায় অভিযুক্ত করেন। ওবায়দুল কাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৩০-কে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির নকল বলে অভিযোগ উত্থাপন করেন।

খালেদা জিয়া এত সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এটি বাস্তবায়ন খুব সহজ হবে না। তিনি নিজেই তা স্বীকার করে বলেন, ‘এটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।’ সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে তিনি নাগরিক সাধারণে সতত সহযোগিতা কামনা করেন। যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি সফলতা তাঁর নেতাকর্মীদের ভূমিকার ওপর নির্ভর করে। নিঃসন্দেহে খালেদা জিয়ার ভাষণ কর্মী সাধারণকে উজ্জীবিত করবে। বাস্তবিক পক্ষে এই উচ্চাভিলাষী ভিশন-২০৩০-এর যদি বাংলাদেশের মাটিতে বাস্তবায়নের সুযোগ আসে, অর্থাৎ বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনের সুযোগ পায়, তাহলে তা প্রকৃতপক্ষেই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের সহায়ক হবে।

লেখক : প্রফেসর, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. ইতিহাস গড়তে চলেছেন রণবীর, এক সিনেমার বাজেট ১৬০০ কোটি
  2. ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাতে বসেছেন সাইফ আলী খান
  3. ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...
  4. ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির
  5. বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক
  6. বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল
সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাস গড়তে চলেছেন রণবীর, এক সিনেমার বাজেট ১৬০০ কোটি

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাতে বসেছেন সাইফ আলী খান

ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...

ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির

বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক

ভিডিও
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ০৩
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ০৩
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৪
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৪
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৩
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬১
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৭৩
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৭৩
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ৭
নাটক : রক্ত জবা
নাটক : রক্ত জবা

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x