‘সিল্কের বালিশের কভার চুল সুস্থ রাখে’

শীতের সময় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে জানা জরুরি সাধারণ কিছু পরামর্শ, যা এই আবহাওয়াও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এ সময়টাতে চুল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আর কী বিষয় মেনে চলা জরুরি সে সম্বন্ধে রেড বিউটি সেলুনের সিইও আফরোজা পারভীনের এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
১. ভুলভাবে চুল আঁচড়ানোর কারণে আমাদের চুল পড়ে যায়। আমরা আঁচড়ানোর সময় সাধারণত চুলের গোড়া থেকে আগার দিকে যাই। এতে চুল ছিঁড়ে যায়, মাঝখান থেকে ভেঙে যায় এমনকি জটের কারণে টান লেগে চুল গোড়া থেকে উঠে আসে। এ কারণে একবার আঁচড়ানোর পর অনেকগুলো চুল পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে চুলের আগা আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর একটু ওপর থেকে আঁচড়াতে হবে। এভাবে দুই থেকে তিন ধাপে চুল আঁচড়াতে হবে। এতে চুল ছিঁড়বে না এবং আঁচড়ানোর কারণে চুলও পড়বে না।
২. চুলের আগা ফাটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। অনেকে জানেই না কেন এমন হয়। মাথায় গরম পানি ব্যবহারের কারণে চুলের আগা ফেটে যায়। তাই শীতের সময় চুল প্রথমে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। দেখবেন, চুলের আগা ফাটবে না।
৩. ঘুমানোর সময় সাধারণত সুতির বালিশের কভার বেছে নেই। এতে ঘষা লাগার কারণে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। যাতে ঘষা লাগলেও চুলে সমস্যা না হয়।
৪. যারা দ্রুত চুল লম্বা করতে চায় তারা নিচের দিকে ওপর হয়ে চুল উল্টিয়ে মাথার পেছন থেকে কপাল পর্যন্ত আঙুল দিয়ে চার মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর মধ্যে চিরুনি দিয়েও আঁচড়ে নিন। এই চার মিনিটের ম্যাসাজ আপনার দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
৫. নারকেল তেলের সঙ্গে অলিভ অয়েল কিংবা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুলে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই তেলের মিশ্রণ যদি একদিন পরপর ব্যবহার করা যায়, তাহলে চুল সুস্থ ও ঝলমলে হবে।
৬. সাদা ভিনেগার সরাসরি চুলে তেলের মতো লাগান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলে কালার বা রিবোন্ডিং করার কারণে যে ক্ষতি হয় ভিনেগার তা দূর করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল রাখতে সাহায্য করে।
৭. প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে চুল বাড়ে। প্রতিদিন ১০০টি করে চুল পড়ে যায়। ৯০ ভাগ চুল মাথায় থাকে আর ১০ ভাগ চুল নিয়ম অনুযায়ী পড়ে যায় আবার গজায়। তাই চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর অবশ্যই প্রতি দুই বা তিন মাস পরপর চুল কাটতে ভুলবেন না।