পাঁচ উপায়ে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর

ত্বক অনেক সময় জিনগত কারণে, অযত্ন, মানসিক চাপ, হরমোনের সমস্যা এবং নিম্নমানের প্রসাধনীর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এ সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান পেতে আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। প্রতিদিন কয়েকবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন, তৈলাক্ত ভাব অনেকখানি কমে গেছে। তা ছাড়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ পাওয়া গেছে বোল্ডস্কাই ম্যাগাজিনের জীবনধারা বিভাগ থেকে।
দুধের ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধ অনেক উপকারী। পাতলা কাপড় বা কটন বল দুধে ভিজিয়ে দিনে দুবার মুখে লাগান। বাড়তি পরিষ্কারের জন্য সঙ্গে লেবুর রস দিতে পারেন।
কমলার রস
কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। কমলার রস করে তা মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন, রস যেন চোখে না যায়। তার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটা কমে আসবে।
ঘৃতকুমারী
ঘৃতকুমারী ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। ঘৃতকুমারীর রস নিয়ে পুরো মুখে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন এবং ভালো ফলের জন্য প্রতিদিন দুবার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সব উপাদানের ক্ষেত্রেই বলে রাখি, মুখের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই যদি আপনার অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে ওই উপাদান এড়িয়ে চলা উচিত।
মধুর প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব ধরে রাখতে মধু বেশ কার্যকর। একটি পাত্রে সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস নিয়ে ভালোভাবে মেশান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
নিম
নিমের ঔষধি গুণ সম্পর্কে কে না জানে? নিম বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণ, জ্বালাপোড়া, তৈলাক্ত ভাব ইত্যাদিতে নিম পাতা বাটা, অর্থাৎ নিমের রস খুব উপকারী।