শুরু হচ্ছে জাতীয় পিঠা উৎসব

যান্ত্রিক এই নগরবাসী প্রায় ভুলতে বসেছে বারো মাসের তেরো পার্বণের এ দেশের সংস্কৃতির অনন্য ঐতিহ্য পিঠার স্বাদ আর ঐতিহ্য। গ্রামবাংলার এই চিরন্তন ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ‘জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪২২’।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী সব পিঠাপুলি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউসের তত্ত্বাবধানে একাডেমি প্রাঙ্গণে নবমবারের মতো শুরু হবে এই ‘জাতীয় পিঠা উৎসব’।
আগামী ২২ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় আট দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করবেন চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ম. হামিদের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আজাদ রহমান, আতাউর রহমান ও কবি ড. মুহম্মদ সামাদ।
গত ১৯ জানুয়ারি সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। পরে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ম. হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী ও নাট্যাভিনেতা ম. আবু হারুন টিটো।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে এই পিঠা উৎসব। এ উৎসবের ৩৩টি স্টলে ১৬৮ ধরনের পিঠা থাকবে। এ ছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের কফি হাউসের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, পথনাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে এই পিঠা উৎসব। আর সমাপনী দিনে সেরা শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করবে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ।