কোন রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করবেন

এক এক তেলের স্বাদ একেক রকম। আপনি যদি এক ধরনের তেল সব রান্নায় ব্যবহার করেন তাহলে স্বাদের ভিন্নতা অনুভবই করতে পারবেন না। কিছু খাবার আছে যা তেলের কারণে আরো সুস্বাদু হয়ে ওঠে। তবে সেসব খাবারের ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক তেল বাছাই করতে হবে।
কোন ধরনের খাবারে কোন তেল ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক পত্রিকা রিডার্স ডায়জেস্টে। জেনে নিন খাবার অনুযায়ী কীভাবে তেল বাছাই করবেন।
রান্নার জন্য
আমন্ড অয়েল যেকোনো খাবারের স্বাদকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল দিয়ে রান্না করলে বাদামের স্বাদ পাবেন। যা খাবারকে মুখরোচক করে তুলবে। আর এ তেল পরিমাণেও খুব সামান্য লাগে। তবে এটি ঠান্ডা শুষ্ক জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে এর স্বাদ অপরিবর্তিত থাকবে।
ডিপ ফ্রাইয়ের জন্য
ডুবো তেলে ভাজার জন্য সানফ্লাওয়ার তেল খুবই কার্যকরি। এর স্বাদ একেবারেই হালকা এবং যেকোনো তাপমাত্রায় গরম করলে এর কার্যকারিতা একই থাকে। এটিও ঠান্ডা শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং বোতলের মুখ খোলার পর ১২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এই সময়ের পরে ব্যবহার না করাটাই ভালো।
বেকিংয়ের জন্য
ম্যাকাডেমিয়া বাদামের তেল বেকিংয়ের জন্য ভালো। এতে বাদামের ফ্লেবার আছে এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এর কার্যকারিতা নষ্ট হয় না। আর বেকিংয়ের পর এর অন্যরকম স্বাদ পাবেন আপনি। যেকোনো সুপার শপ থেকে এই তেল কিনতে পারবেন। এটি তিন বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে যদি ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায় স্টোর করতে পারেন।
সালাদের ড্রেসিংয়ের জন্য
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর একটি তেল। সালাদের ড্রেসিংয়ের জন্য আপনি এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি সালাদের স্বাদকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এটি একটি ডার্ক বোতলে রেখে আলো ও গরম থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। এভাবে রেখে দিলে ১২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।
তৈরি খাবারের ওপরের টপিংয়ের জন্য
পরিবেশনের আগে যেকোনো রান্না করা খাবার যেমন- শাকসবজি ও মাছের ওপর সামান্য আখরোটের তেল ছিটিয়ে দিতে পারেন। অন্যরকম স্বাদ পাবেন। তবে এই তেল বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। কারণ খুব দ্রুত এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। বোতলের মুখ খোলার পর তিন-চার মাসের মধ্যে এটি ব্যবহার করে ফেলুন।