সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকায় ‘ট্রাম্প ক্যাফে’

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তাঁর নামেই রেস্তোরাঁর নাম ‘ট্রাম্প ক্যাফে’। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি তাহলে এই ক্যাফের মালিক? না, ট্রাম্পকে ব্যবসায়িক আদর্শ মেনে রাজধানীর জিগাতলায় চার তরুণ উদ্যোক্তা চালু করেছেন ‘ট্রাম্প ক্যাফে’।
ক্যাফেতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই চোখ আটকে যাবে ট্রাম্পের ছবিতে। যেন রেস্তোরাঁয় তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন আপনাকে।
ক্যাফেতে নিয়মিত আসেন এমন একজন আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘খাবারের মানগত গুণাগুণ ও মনোরম পরিবেশের জন্যই এখানে আসি। প্রায় সময় একাই চলে আসি এক কাপ কফির টানে। এখানের কফিটা অসাধারণ।’
নামের পেছনে কারণ
ট্রাম্প ক্যাফের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনেকে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন; কিন্তু তিনি আমার কাছে অনুপ্রেরণা। কেননা, বিশ্বের সেরা সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর ব্যবসায়িক সফলতা দেখে আমি অনুপ্রাণিত। তাই এমন নামকরণ করা হয়ছে। নামটা আসলে রাখা হয়েছে আমেরিকার একটি রেস্টুরেন্ট বেলভেলিকে অনুসরণ করে। যার নাম প্রথমে বেলভেলি থাকলেও পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পকে ভালোবেসে নাম পরিবর্তন করে ট্রাম্প ক্যাফে করা হয়েছে। মূলত আমেরিকার সেই রেস্টুরেন্টকে অনুসরণ করে ক্যাফের পরিকল্পনাটা মাথায় আসে। বিশ্বে মাত্র দুটি রেস্টুরেন্টের নাম ট্রাম্পের নামে রয়েছে, যার একটি আমেরিকায়, অন্যটি বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, এই রেস্টুরেন্টের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ডটি রাখা হয়েছে ট্রাম্পের পরিবারের একজন সদস্যের নামে।’
সাইফুল আরো জানান, এ বছরের ১২ এপ্রিল যাত্রা শুরু হয় এই ক্যাফেটির।
ট্রাম্পের নামে বিশেষ খাবার
ট্রাম্প স্পেশাল থাই স্যুপ, চিকেন স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প সাবওয়ে স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন চিজ বার্গার, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ক্রিসপি বার্গার, ট্রাম্প স্পেশাল এক্সপ্রেস ও কাপুচিনো কফি, ট্রাম্প স্পেশাল কাবাব, ট্রাম্প স্পেশাল নানসহ নানা পদ রয়েছে এখানে। এ ছাড়া এখানে ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ফ্রাই, চিকেন ক্রিসপি ফ্রাই উইং, চিকেন চিলি, চিকেন চিলি লেমন, থাই ফ্রাইড রাইস, ফেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন কর্ন স্যুপ, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ক্লাব স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প সাবওয়ে স্যান্ডউইচ, চিকেন চিজ পাস্তা রেড, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন সালাদ, পিওর চকলেট মিল্ক শেক ও ট্রাম্প ককটেল বেশ জনপ্রিয়।
ছাড় আছে
ধানমণ্ডি এলাকার অন্যান্য রেস্তোরাঁর তুলনায় মোটামুটি সাশ্রয়ী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১০% ছাড়। কিন্তু স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৫% ছাড়।
কোন খাবারের কত দাম
দেড়শ পদের মধ্যে ‘স্পেশাল ট্রাম্প ককটেল’ বা ‘গ্রিন অ্যাপল মকটেল’ ও স্পেশাল কফি বেশি জনপ্রিয় এ রেস্তোরাঁয়। এগুলোর দাম পড়বে ৩০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া সেট মেন্যুর রয়েছে বিশেষ চাহিদা, যার দাম পড়বে ১২০ থেকে ৩৩০ টাকার মধ্যে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র জিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলাতেই পাবেন এই ট্রাম্প ক্যাফে। যদি মিরপুর থেকে যেতে চান, তবে সরাসরি লেগুনা অথবা বাসে করে চলে যেতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকেই বাস, রিকশা বা সিএনজিতে করে যেতে পারেন।
কখন খোলা পাবেন
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা খোলা থাকে এই রেস্তোরাঁ। বিকেল বেলায় হালকা ভিড় থাকে, তবে ছুটির দিনে বেশ সরগরম থাকে। সাধারণ দিনগুলোতে নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর রেস্তোরাঁটি মন্দ নয়।