ফেনীতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, নেই প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ব্যবস্থা

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ফেনী জেলার আশপাশের জেলাগুলোতে ইতোমধ্যেই সংক্রমণের খবর মিললেও, ফেনীতে এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফেনীতে নেই আরটি-পিসিআর ল্যাব, নেই নমুনা সংগ্রহের কীট। এতে করে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীরা পরীক্ষা করাতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ইতোমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দুজনের পরীক্ষাও করানো যাচ্ছে না কীট না থাকার কারণে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা মোকাবিলায় নতুন ভবনের পাঁচতলায় ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ডাক্তার, নার্সসহ জনবল সংকট রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কীট ও সরঞ্জামেরও অভাব রয়েছে।
গতবছর করোনা সংক্রমণের সময় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত হলেও সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আবারও পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কীট, জনবল ও সরঞ্জামের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুজ্জামান জানান, জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ফেনী শহরের ট্রমা সেন্টারকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম ও আইসিইউ ইউনিট রাখা হয়েছে।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, গতবছরও এই হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। এবারও আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও মাথাব্যথা নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন।