গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি?

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুব জরুরি। নয়তো বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২৪৪০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক কহিনূর খান। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ গণবিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও অবস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : যদি কেউ অ্যান্টিনেটাল চেকআপে না আসে, সে ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে?
উত্তর : যদি অ্যান্টিনেটাল চেকআপে না আসে, তাহলে যেসব রোগ হচ্ছে, যেমন—প্রি-একলামশিয়া, জেসটেশনাল হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, এগুলো পরে তাদের ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে। যেমন প্রি-একলামশিয়া হলো, সিভিয়ার একলামশিয়া হলো, একলামশিয়া হলো, তখন দেখা গেল কাগজপত্র তাদের কিছুই নেই। তারা হাসপাতালে হয়তো ভর্তি হয় ঠিকই। তবে আবার নতুন করে কিছু পরীক্ষা করতে গেলে তাদের অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন আমরা তাদের চিকিৎসা ঠিকই দিই, কিন্তু তাদের যে একটি ক্ষতি হলো, মা ও শিশুর এটা আর পূরণ করা যায় না। আর আমরা যদি এটি আগে জেনে নিতাম, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারতাম।
বয়স ২২ থেকে ২৮-এর ঝুঁকিহীনের মধ্যে পড়ে। ৩৫ বছরের বেশি হলে আবার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। সঙ্গে আরো রোগ আছে, যেমন—ফ্রাইবোয়েডস আছে। তখন প্রসবে বাধা হতেই পারে। সেসব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মায়েকে অবশ্যই আসতে হবে। সর্বোপরি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।