মেনোপজ সম্বন্ধে জানেন কি?

অধিকাংশ নারীরই ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে মেনোপজের (দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) ঘটনা ঘটে। এই সময় শরীরে হরমোনের অনেক পরিবর্তন হয়। শরীর জ্বালাপোড়া করা, ঘুমের অসুবিধা, ভ্যাজাইনায় অস্বস্তি, মেজাজের ওঠানামা-এগুলো মেনোপজের সময় হয়ে থাকে।
অধিকাংশ নারীর জন্যই মেনোপজের সময়টি খুব কঠিন হয়। তবে আগে থেকে সচেতন থাকলে সময়টিকে খুব সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেনোপজের কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রত্যেক নারীরই জানা প্রয়োজন। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ সম্বন্ধে একটি প্রতিবেদন।
মেনোপজ
মেনোপজের সময় ডিম্বাশয় ইসট্রোজেন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। যদি ১২ মাস একটানা ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে তবে এটি মেনোপজের প্রারম্ভ হতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। সাধারণত ৫১ বছরের কাছাকাছি সময়ে মেনোপজ হয়। এই সময়ে নারীশরীরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন আসে।
মেনোপজের লক্ষণ
একেকজনের ক্ষেত্রে মেনোপজের লক্ষণ সাধারণত একেক ধরনের হয়ে থাকে। তবে মেনোপজের প্রচলিত লক্ষণ হলো হট ফ্লাস বা গরম ঝলকানি এবং ওজন বেড়ে যাওয়া। হট ফ্লাসের সময় মুখ, গলায় লালা ভাব হতে পারে, ঘাম হতে পারে। এই অনুভূতি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। এই সময়ে দুর্বলতা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। সারা দিনে হট ফ্লাস কয়েকবার অনুভূত হতে পারে। এ ছাড়া অত্যধিক ঘামের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
হাড়ের ক্ষয় হয়
গবেষণায় বলা হয়, মেনোপজের সময় হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই সময় নারীদের বেশি করে ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাই দুধ, পনির, দই, ডিম ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এই খাবারগুলো হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো করবে।
হার্টের জন্য ঝুঁকি
মেনোপজের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে এই সময় হার্টকে ভালো রাখা যায়। মূলত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস পালন করা মেনোপজের সময় ভালো থাকার চাবিকাঠি।
মাথাব্যথা
কখনো কখনো মেনোপজের সময় মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে। হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এমনটি হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি কমে যায়।