ব্রেস্ট ফিডিং করালে মায়ের কী উপকার?

শিশুকে বুকের দুধ পান করানো বা ব্রেস্ট ফ্রিডিংয়ে যেমন শিশুর উপকার হয়, তেমনি মায়েরও উপকার হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮১৫তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. ফাতেমা পারভীন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুকে বুকের দুধ পান করালে মায়ের দিক থেকে উপকার কী?
উত্তর : মায়ের দিক থেকে উপকারটা অনেক বেশি বলা যায়। প্রথম কথা হলো বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর থেকে আমরা জানি, মায়ের জরায়ুটা বড় থাকে। এখানে পুরো বাচ্চাটা ছিল। বের হওয়ার পর কিন্তু সেটি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে হবে। এই দুধ পান করলে খুব দ্রুত সুন্দরভাবে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। আমাদের মস্তিষ্কের কিছু জিনিস রয়েছে, যেটা থেকে মস্তিষ্কে এসে দুধটা তৈরি করে। মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোন বেশি তৈরি হয়, সঙ্গে করে অক্সিটোসিন বা অন্যান্য হরমোন জরায়ুর ওপর কাজ করে। এদের সাধারণত দেখা যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় না। এ ছাড়া মায়ের নিজের যে একটি তৃপ্তি, মানসিক প্রশান্তি, সেটি যেই পরিমাণ সে পাবে, সেটা অনেক।
একটি ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি মায়ের সময়ের অপব্যবহার। আমি বলব, এই সময়টি প্রোডাক্টিভ সময়। একটি ছোট বাচ্চাকে আপনি যদি টিনজাতীয় দুধ খাওয়ান, একটি টিনে বেশি হলে তার এক সপ্তাহ যেতে পারে, দুই-তিন মাসের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে। এ রকম যদি সে এক মাসে চার-পাঁচটি টিন খায়, সেটার মূল্য কত? এ ক্ষেত্রে মা কিন্তু বিনামূল্যে এটি দিচ্ছে। এই দুধ দেশকে বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে না। এর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের সাশ্রয় হচ্ছে। ওই মায়ের তৃপ্তি, কর্মক্ষমতা অনেক হবে।
জরায়ুর ক্যানসার, স্তন ক্যানসার—এগুলো কিন্তু অনেক কমে যাবে। এগুলোর হার একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে যদি কেউ নিয়মিত ব্রেস্ট ফিডিং করান।