পাইলসের লক্ষণ কী?

মলদ্বারে রক্তনালি বড় হয়ে গিয়ে দলা আকারে হলে একে পাইলস বলে। সাধারণত ব্যথাহীন রক্তপাত পাইলসের লক্ষণ। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭২৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক সালমা ইয়াসমীন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লক্ষণগুলো কীভাবে প্রকাশ পায়?
উত্তর : পাইলসের ক্ষেত্রে প্রধান যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, সেটি হলো রক্তপাত। রক্তপাত হয় পায়খানার সঙ্গে, পায়খানার আগে অথবা পরে। দেখা যাচ্ছে, টকটকে রক্ত বের হয়ে আসছে, যখন পায়খানা করতে যাচ্ছে। অথবা করার পরও ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে। এটা অল্প পরিমাণ থেকে অনেক বেশি হতে পারে। এখানে কোনো ব্যথা থাকে না। খালি রক্তই পড়ে। যদি দেখা যায় রক্ত পড়ছে পায়খানার রাস্তা দিয়ে, ব্যথা আছে, তাহলে কিন্তু রোগ নির্ণয়টা অন্যদিকে চলে যায়। পাইলসের প্রধান লক্ষণই হচ্ছে ব্যথাহীন রক্তপাত। এগুলো কোনো জটিলতা ছাড়াই হতে পারে।
তবে অনেক সময় পাইলসের ক্ষেত্রে জটিলতা হয়ে যায়। চিকিৎসা না করলে এটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ও বড় হয়ে যায় এবং পায়খানার রাস্তার বাইরে চলে আসে। বাইরে চলে এসে আটকে যায়।
প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে আপনি একটি গ্রেডিং করেন, সেটি কিসের ওপর?
উত্তর : সেটিও আকারের ওপর। যত বেশি গ্রেডিংয়ের নাম্বার হবে, তত জটিলতা বাড়বে। প্রথম ডিগ্রির ক্ষেত্রে বলি শুধু রক্তপাত হচ্ছে। দ্বিতীয় ডিগ্রিতে পায়খানার রাস্তার বাইরে বের হয়ে আসে, আবার নিজে নিজেই ঢুকে চলে যায়। তৃতীয় ডিগ্রি হলো বের হয়ে আসে। আর চার ডিগ্রি হলে বাইরে আসবে। ঠেললেও আর ঢুকবে না। এই দলটি কিন্তু খুব বিপজ্জনক।
প্রশ্ন : চিকিৎসা কি এ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : চিকিৎসা এর ওপর নির্ভর করে না। যাদের চার ডিগ্রি হয়ে গেছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে। আর তৃতীয় ডিগ্রিতেও যদি জটিলতা না থাকে, যেসব কারণে রোগীর সমস্যা হয়েছে, সেটি যদি সে ব্যবস্থাপনা করে চলতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য ব্যবস্থাপনা করে চলতে পারে, তাহলে হয়তো ভালো থাকলেও থাকতে পারে। কারণ, অস্ত্রোপচারের কথা বললেই রোগী ভয় পেয়ে যায়।