ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে ধূমপান না করেও জেনেটিক মিউটিশনের কারণে অনেকের ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে।

অনেক সময় এ ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ বোঝা যায় না। একটু বেড়ে গেলে উপসর্গ প্রকাশ করে। ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণের বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রেজওয়ান ইসলাম। বর্তমানে তিনি সেন্ট মাইকেল হসপিটালে ক্যানসার বিভাগের প্রধান। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৬৩তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয়।

প্রশ্ন : ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ কী?

উত্তর : উপসর্গ অনেক সময় বোঝা যায় না। কারো হয়তো বুকে ব্যথা হতে পারে, কারো হয়তো কাশি হতে পারে, কারো হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে, যেটা যাচ্ছে না, কারো হয়তো রক্তকাশি হচ্ছে।

প্রশ্ন : ক্যানসার হলে কীভাবে স্ক্রিনিং করেন?

উত্তর : প্রথমে আমাদের নির্ণয় করতে হয় যে এটি সত্যি সত্যি ক্যানসার কি না। আমরা ক্যাচ ক্যান পরীক্ষা করি। এটি করে দেখি ক্যানসারের পর্যায়টি কেমন। সাধারণত দুই রকম ফুসফুসের ক্যানসার আমরা দেখি। একটি হলো স্মল সেল। আরেকটি হলো নন-স্মল সেল। দুটোর আবার দুভাবে চিকিৎসা।

নন-স্মল সেল কোনো নারীর হলে, সে কোনোদিন ধূমপান না করলে, আমরা দেখার চেষ্টা করি, জেনিটিক মিউটিশনের কারণে ক্যানসার হচ্ছে কি না। মিউটিশন যদি অস্বাভাবিক থাকে, তাহলে লক্ষ্য নির্ধারণ করে ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধ খুব ভালো কাজ করে।

প্রশ্ন : নন-সেল ও স্মল সেলের রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি কি আলাদা?

উত্তর : পদ্ধতি প্রায় একই রকম। নন-স্মল সেলে ক্যানসারের পর্যায় এক, দুই, তিন-এ সাধারণ সার্জারি করতে হয়। অনেক সময় আমরা কেমোথেরাপি দিই। কেমোথেরাপির সঙ্গে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হয়।