জুলাইয়ের অদম্য নারীদের স্মরণে ঢাবিতে ছাত্রীসংস্থার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাইয়ের অদম্য নারীরা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, ঢাবি শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় হয় এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছাত্রীসংস্থার ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না। তিনি বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহত যোদ্ধাদের সুস্থতার দোয়ার মাধ্যমে আজকের এ আয়োজন শুরু করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি—স্বাধীন দেশে সত্যিকার স্বাধীনতার স্বাদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পাড় হয়ে গেলেও এই স্বাধীনতা কুক্ষিগত ছিল একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে। ফলে স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনতার চর্চা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে মানুষের জীবনে ছিল নিরাপত্তাহীনতা, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ছিল অন্যায় ও নিপীড়নের দখল। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনতার এক বিস্ফোরণ।
সাবিকুন্নাহার তামান্না আরও বলেন, প্রথমে কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু হলেও শাসকগোষ্ঠীর দমননীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার তা রূপ দেয় একটি গণঅভ্যুত্থানে। বহু প্রাণের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
আলোচনার পরপরই অনুষ্ঠিত হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে স্মৃতিচারণ। বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তাহিরা মুবাশ্বিরা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোছা. আসমা খাতুন ও আরবি বিভাগের মাহমুদা খাতুন জ্যোতি।
পরে প্রদর্শিত হয় ‘জুলাইয়ে নারীদের অবদান’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি। প্রদর্শনীতে নারী নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনের স্মৃতি এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষের ঘোষণায় ছাত্রীসংস্থার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, জুলাইয়ের শহীদরা প্রাণ দিয়ে এনে দিয়েছেন আজাদী। আমাদের দায়িত্ব—এই অপূর্ণ কাজের আমানত রক্ষা করা। আজাদী রক্ষা ও জাতি বিনির্মাণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবেই পূর্ণতা পাবে শহীদদের আত্মত্যাগ।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাইয়ের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।