বিনিয়োগকারীদের সতর্কতায় তিন দিন সূচক পতন

টানা তিন কার্যদিবস দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। আজ সোমবার বাজারে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা ছিল তীব্র। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমে ২৮ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৮৫ পয়েন্ট।
বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়া এবং বড় বিনিয়োগকারীরা লেনদেন থেকে সরে থাকায় এ ধরনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
ডিএসইতে আজ ৩২০টি কোম্পানির ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৪০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ৩৬ লাখ এক হাজার ৮৩৪ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি ১১ লাখ কম। লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪০টির দাম।
কয়েক দিন ধরে শেয়ারদর বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আজ মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা ছিল বলে মনে করেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, তবে অনেকে বর্তমানে বাজারে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। শেয়ারদর পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আজ আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৮.৭২ পয়েন্ট কমে ৪৮১৫.৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১২.২৭ পয়েন্ট কমে ১৮৬৯.৩১ এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪.৬৩ পয়েন্ট কমে ১১৮৯.০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৭০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির দাম। সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৮৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে টাকার পরিমাণে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার, ফার কেমিক্যাল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অ্যাপোলো ইস্পাত, শাহজিবাজার পাওয়ার, ওয়েস্টার্ন মেরিন, বেঙ্গল উইন্ডসর, স্কয়ার ফার্মা, ইফাদ অটোস ও গ্রামীণফোন।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো : নর্দার্ন জুট, জেমিনি সি ফুড, জাহিন স্পিনিং, লিবরা ইনফিউশন, প্রথম আইসিবি, এশিয়ান টাইগার, গ্লোবাল হেভি, ফার কেমিক্যাল, অ্যারামিট ও বেঙ্গল উইন্ডসর।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো : দুলামিয়া কটন, প্রগ্রেসিভ লাইফ, আনলিমা ইয়ার্ন, দেশবন্ধু পলিমার, বিডি ওয়েল্ডিং, বিচ হ্যাচারি, এফবিএফআইএফ, কাশেম ড্রাইসেল, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও এসইবিএল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড।