সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরের অবস্থানে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান। এই তিন খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ছয় হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল এক হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে ২১টি খাতে রয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ওষুধ, ব্যাংক ও বস্ত্র এই তিন খাতের ১২৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। বাকি ১৮ খাতের ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানে চার হাজার ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শীর্ষে অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৮৯৭ কোটি তিন লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১৭৯ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৭৪৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এই খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। 

এছাড়া মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে প্রকৌশল খাতে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে  সাত দশমিক ৪১ শতাংশ, আইটি খাতে সাত দশমিক ২৫ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে পাঁচ দশমিক ৭১ শতাংশ, জ্বালানি ও শক্তি খাতে পাঁচ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে চার দশমিক ৩৭ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ, টেলিকম খাতে দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে দুই দশমিক ৫৬ শতাংশ,  সেবা ও আবাসন খাতে এক দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক দশমিক ৫৮ শতাংশ, সিরামিক খাতে এক দশমিক ৬৩ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে এক দশমিক ২৫ শতাংশ, চামড়া খাতে এক দশমিক ১৭ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডের খাতে এক দশমিক ১১ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৭১ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য এক শতাংশ লেনদেন হয়েছে।