‘আহতদের উদ্ধার না করে লুটপাটে ব্যস্ত আশপাশের মানুষ’

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে এক বিচারকসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত বিচারক মুনির হোসেন আক্ষেপ করে বলেছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার না করে আশপাশের মানুষ তাদের মোবাইলফোন-মানিব্যাগ লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিরাজদীখান উপজেলার চালতিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি ইমাদ পরিবহণের হেলপার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মাওয়ামুখী লেনে হানিফ পরিবহণের একটি বাস নষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতির ইমাদ পরিবহণের বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইমাদ পরিবহণের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই হেলপার নিহত হন। আহত চালকসহ আটজনকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী লেনে প্রায় ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সড়ক স্বাভাবিক আছে।
বাসে অবস্থান করা আহত ঢাকা মহানগর দায়রার যুগ্ম জজ মুনির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অফিসের কাজে ইমাদ পরিবহণে করে ঢাকা থেকে পিরোজপুর যাওয়ার পথে নিমতলী এসে দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমি পায়ে, কপালে, বুকে আঘাত পেয়েছি। আমার সামনেই বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার দুজনের উপর বাসের দরজার পাশ ভেঙে পড়ে। লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করি। তখন হেলপার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। সুপারভাইজার গুরুতর আহত হয়।’
বিচারক মুনির হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, দুর্ঘটনায় মানুষ আহত ও নিহত হলো, কিন্তু আশপাশের মানুষ এসে তাদের মোবাইলফোন-মানিব্যাগ লুট করে নেওয়ায় ব্যস্ত।
মুনির হোসেন আরও বলেন, ডাক্তার দেখিয়ে এক্স-রে করি। গুরুতর কোনো সমস্যা না থাকায় আমাকে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম থাকার পরামর্শ দেন ডাক্তার।