পরোক্ষ ধূমপানের শিকার ঢাকার প্রাথমিক পড়ুয়া ৯২ শতাংশ শিশু : গবেষণা

ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া ৯২ শতাংশ শিশুর লালায় উচ্চমাত্রার নিকোটিন শনাক্ত হয়েছে, যারা মূলত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত প্রজন্ম : আইন শক্তিশালীকরণে নাগরিকের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিশুদের পাশাপাশি নারীরা কর্মক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ, ৩৮ শতাংশ গণপরিবহনে, নিজ বাড়িতে ৩৭ শতাংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করছেন প্রায় চার লাখ মানুষ।
তামাকের অর্থনৈতিক বিষয়ে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির হিসেব তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অথচ একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার অনেক ধরণের সংস্কার করছে, তবে তামাক নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে সরকার একটি স্মরণীয় সংস্কার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির আলোচনায় কেবল রাজস্ব হারানোর শঙ্কা নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। আমাদের আরও বৃহৎ পরিসরে, বিশেষ করে ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে চিন্তা করতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা এখন সময়ের দাবি।